ছবি: পিটিআই।
উন্নতি হওয়া দূরে থাক, আজ গতকালের চেয়েও খারাপ চেহারা নিল দিল্লির দূষণ। বায়ুপ্রবাহ একেবারে না থাকায় রাজধানী দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকা থেকে সরল না ধোঁয়াশার চাদর। এই পরিস্থিতিতে রবিবার পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি সরকার। বয়স্কদের আগামী দু’দিন ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
বাতাসে শ্বাসযোগ্য ভাসমান কণার (পার্টিকুলেট ম্যাটার) পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেড়ে যায়। সকাল থেকেই ঘন ধোঁয়াশার কারণে প্রায় ৩০টি ট্রেন ও বিমান দেরিতে পৌঁছয়। দৃশ্যমানতার অভাবে গোটা দিল্লি ও আশেপাশে একাধিক সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনাও ঘটে। নয়ডা এক্সপ্রেসওয়েতে আজ সকালে একটি গাড়ি দুর্ঘটনাগ্রস্ত হলে তার পিছনে একের পর এক গাড়ি এসে ধাক্কা মারতে থাকে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘন ধোঁয়াশার কারণে এক সঙ্গে অন্তত দশটি গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হয়। দিল্লির বিভিন্ন হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, ধোঁয়াশার কারণে কাশি, গলা, চোখ জ্বালার সমস্যা নিয়ে মানুষ আসছেন। দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ে একই সঙ্গে বিজেপি ও আপ শিবিরকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি কংগ্রেস। এক কংগ্রেস নেতার কথায়, ‘‘গত বার ছিল নোট বন্ধ। আর এ বার হল শ্বাস বন্ধ।’’ দিল্লি ও সংলগ্ন জাতীয় রাজধানী এলাকায় পরিবেশের উন্নতিতে হরিয়ানা-পঞ্জাবের মতো রাজ্যগুলির সঙ্গে বৈঠক করার জন্য আজ চিঠি দিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। কিন্তু প্রশ্ন, প্রতি বছর এই সময়ে তীব্র বায়ুদূষণের শিকার হয় দিল্লি। সরকার তা জানে। তাহলে ধোঁয়াশায় আক্রান্ত হওয়ার পরে পদক্ষেপ করা হচ্ছে কেন?
বায়ু দূষণের কারণ?
• কৃষি: পঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থানে ফসলের গোড়া পোড়ানো
• শিল্প: নয়ডা ও গুরুগ্রামের দূষণ
• গাড়ি: গত ১৫ বছরে গাড়ি বেড়েছে প্রায় ৯২ শতাংশ
• মাটি: বাতাসে মিশছে গাঙ্গেয় অববাহিকার পাললিক মাটি
• তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র: পারটিকুলেট ম্যাটারের জন্য ৯০% দায়ী এরাই
• নির্মাণ: নিয়ম না মেনেই আবাসন ও পরিকাঠামো তৈরি
• আবহাওয়া: শীত বেশি বলে কুয়াশা বেশি। আবার বায়ুর বেগ কম হওয়ায় দূষিত কণা সরে না
বাঁচার উপায়
• অনেক আগে থেকেই ব্যবস্থা নিতে হবে সরকারকে
• ফসলের গোড়া না পুড়িয়ে, পচিয়ে সার হিসাবে ব্যবহার করা
• জোড়-বিজোড় পদ্ধতিতে গাড়ি চালানো। কিছু রাস্তায় ব্যক্তিগত গাড়ি চালানো বন্ধ করা
• আরও বেশি করে গণ পরিবহণকে উৎসাহিত করা
• দূষণের তালিকায় থাকা কারখানাগুলির উপরে নজরদারি
• চড়া দূষণের সময় প্রয়োজনে আবাসন নির্মাণের কাজ কিছু দিন বন্ধ রাখা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy