বইমেলা দোরগোড়ায়। শুক্রবার বিপিনচন্দ্র পাল সভাস্তলে বইমেলার উদ্বোধন হবে।
এই সময়ে কত কী কাজ! মেলাপ্রাঙ্গণ ঠিক ভাবে সেজে উঠল কিনা। মঞ্চ, অফিসঘর কেমন হচ্ছে। কলকাতা, আগরতলা, গুয়াহাটি থেকে বই এসে পৌঁছচ্ছে কিনা। এ বার আবার সুরমা সাহিত্য সম্মিলনীর শতবর্ষপূর্তি পালনের অঙ্গ হিসেবে মেলাপ্রাঙ্গণে বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হচ্ছে। পত্র-পত্রিকা, ম্যাগাজিন, পাণ্ডুলিপির জন্য ২০টি স্টল বরাদ্দ রয়েছে। পৃথক উপ-সমিতি থাকলেও মেলার আয়োজক বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের কর্তাদেরই সব ভাবতে হচ্ছে।
তবে সব চিন্তাকে ছাপিয়ে গিয়েছে খুচরো টাকার সঙ্কট। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক গৌতমপ্রসাদ দত্ত জানান, খুচরো টাকার সমস্যায় হাইলাকান্দির বইমেলায় বেচাকেনা কম হয়েছে। পছন্দের বই খুঁজে পেয়েও কিনতে পারেননি পাঠক। মুশকিলে পড়েছেন পুস্তকবিক্রেতা, প্রকাশকরা। অথচ ৪ তারিখ থেকে করিমগঞ্জের রামকৃষ্ণনগরে যে মেলা হয়, শুরুর দিকে বেশ ভাল বিক্রি হয়েছিল।
তাঁদের চিন্তা, খুচরো নোটের সমস্যা শিলচরেও তীব্র! তাই আজ সব কাজ ফেলে এ নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন তাঁরা। জেলা সম্পাদক পরিতোষ দে বলেন, গোপালগঞ্জের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলবেন। একদল ব্যবসায়ী তিনদিন ধরে কাউন্টার খুলে ২ হাজার টাকা নোটের খুচরো দিচ্ছেন। মানুষ লাইন দিয়ে বড় নোট ছোট করাচ্ছেন। বরাক বঙ্গ তাঁদের কাছে কিছু খুচরো টাকা চাইবে। জেলা সভাপতি তৈমুর রাজা চৌধুরীর কথায়, ‘‘গোপালগঞ্জ ছাড়াও এক পাইকারি ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। মেলার দিনগুলিতে তাঁর দোকানের সমস্ত খুচরো টাকা আমরা পাব।’’ কিন্তু সে আর কত! তাই পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডকেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, খুচরো টাকা নিয়ে আসতে।
জেলা কমিটির উপসভাপতি দীপক সেনগুপ্ত জানান, শুক্রবার বিকেল তিনটেয় মেলার উদ্বোধন করবেন বিশিষ্ট সাংবাদিক-শিক্ষাবিদ জ্যোতিলাল চৌধুরী। প্রধান অতিথি বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার দিলীপকুমার পাল। শনিবার বইমেলার মঞ্চে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের উপর জমজমাট আলোচনা হবে। কংগ্রেস সাংসদ সুস্মিতা দেব, বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক রাজদীপ রায়, প্রাক্তন মন্ত্রী অর্ধেন্দু দে তাতে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে সম্মতি জানিয়েছেন। থাকবেন হিন্দু লিগ্যাল সেলের রাজ্য আহ্বায়ক ধর্মানন্দ দেব, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক অজয় রায় এবং কলেজ শিক্ষক জয়দীপ বিশ্বাসও।
গৌতমবাবু জানান, অনেকদিন থেকে তাঁরা বইমেলা করছেন। মূলত জেলা কমিটিগুলিই বিক্ষিপ্তভাবে এর আয়োজন করত। ২০১৩ থেকে শুরু হয় বরাক বইমেলা। কেন্দ্রীয় কমিটির তত্ত্বাবধানে পরপর তিন জেলায় তিনটি বইমেলা হয়। বিক্ষিপ্ত কিংবা কেন্দ্রীয় আয়োজন, কোনওদিন নোট নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়নি তাঁদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy