নোটবাতিলের ধাক্কা কিছুটা প্রভাব ফেলেছে। কিন্তু, তা সত্ত্বেও দেশের জাতীয় উত্পাদন বা জিডিপি-র বৃদ্ধির নিরিখে ভারত এখনও বিশ্ব অর্থনীতিতে এক নম্বরেই থাকছে। অর্থাত্ ভারত চলতি আর্থিক বছরেও বিশ্বের বড় দেশগুলির মধ্যে সব থেকে দ্রুত আর্থিক বৃদ্ধির দেশ।
আগামী মার্চেই শেষ হবে চলতি আর্থিক বছর। সাত শতাংশের উপরেই থাকবে জিডিপি-র হার। গত সাধারণ বাজেটে যে হার ধরা হয়েছিল, তার খুব একটা হেরফের হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। প্রথম কোয়ার্টার অর্থাত্ এপ্রিল-জুনে দেশে জিডিপি-র হার ছিল ৭.২ শতাংশ। দ্বিতীয় কোয়ার্টার অর্থাত্ জুলাই-সেপ্টেম্বরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৭.৪-এ।
আরও পড়ুন
বাবা-ভাইকে ধর্ষক হয়ে উঠতে প্ররোচিত করেন নারীরাই, বিতর্কে যাজক
এর পরের কোয়ার্টার অক্টোবর-ডিসেম্বরের মাঝখানেই গত ৮ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশ জুড়ে ৫০০ ও ১০০০-এর নোট বাতিলের ঘোষণা করেন। এর ধাক্কা গোটা দেশের অর্থনীতিতেই পড়ে। বাজারে মন্দা আসে। অর্থনীতিবিদদের আশঙ্কা ছিল, জিডিপি বৃদ্ধির হার নেমে যাবে ৬.৪ শতাংশে। কিন্তু, যতটা আশঙ্কা করা হয়েছিল জিডিপি বৃদ্ধির হার ততটা নামেনি। ডিসেম্বরের শেষে তৃতীয় কোয়ার্টারে জিডিপি-র হার নেমে দাঁড়ায় ৭ শতাংশে। চিনের মতো দেশে অক্টোবর-ডিসেম্বর অর্থাত্ তৃতীয় কোয়ার্টারে জিডিপি-র হার ছিল ৬.৮ শতাংশ।
এখনও পর্যন্ত মোটামুটি যা হিসাব, তাতে চলতি আর্থিক বছরে এ দেশে বৃদ্ধির হার দাঁড়াবে ৭.১ শতাংশে। কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক বিষয়ক সচিব শক্তিকান্ত দাস বলেন, ‘‘নোটবাতিলের একটা সাময়িক প্রভাব ছিল। সেই প্রভাব কেটে গিয়েছে। অনেকের ভ্রান্ত ধারণা ছিল, নোটবাতিলের আরও বড় প্রভাব ভারতীয় অর্থনীতিতে পড়বে। কিন্তু, আশার কথা সেটা সত্যি হয়নি। চলতি আর্থিক বছরের শেষে জিডিপি ৭ শতাংশের উপরেই থাকবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy