Advertisement
০৪ জুন ২০২৪

জঞ্জাল রুখতে পথনাটক

পথনাটকের মাধ্যমে জঞ্জাল সাফাই নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে চায় জেলা প্রশাসন। সম্প্রতি শিলচরের কয়েকটি জায়গায় পথনাটক পরিবেশিত হয়। শিবদুর্গা ক্লাবকে এ নিয়ে প্রাথমিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আরও কিছু সংস্থার সঙ্গে কথাবার্তা চলছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলচর ও হাইলাকান্দি শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০১৭ ০৩:৩৪
Share: Save:

পথনাটকের মাধ্যমে জঞ্জাল সাফাই নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে চায় জেলা প্রশাসন। সম্প্রতি শিলচরের কয়েকটি জায়গায় পথনাটক পরিবেশিত হয়। শিবদুর্গা ক্লাবকে এ নিয়ে প্রাথমিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আরও কিছু সংস্থার সঙ্গে কথাবার্তা চলছে।

জঞ্জাল নিষ্কাশন নিয়ে প্রশাসন ও জনতার একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। পুরসভা ঠিকঠাক ভাবে আবর্জনা সরায় না বলে দোষারোপ করেন নাগরিকরা। পুরসভার পাল্টা বক্তব্য— জঞ্জাল সাফাইয়ের কিছুক্ষণ পরই রাস্তাঘাটে আবর্জনার স্তূপ জমে যায়। যেখানে-সেখানে খাবারের প্যাকেট, পানের পিক ফেলেন পথচারীরা।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিছু দিন আগে দোকানে-দোকানে আবর্জনার পাত্র রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কয়েক দিন আগে রাজ্যপাল বনোয়ারিলাল পুরোহিত শিলচরের রাজপথে জঞ্জাল দেখতে পান। এর পরই প্রশাসনিক কর্তারা ‘অম্রুত’ প্রকল্প নিয়ে চিন্তায় পড়েন।

‘অটল মিশন ফর রেজ্যুভিনেশন অ্যান্ড আরবান ট্রান্সফর্মেশন’ (অম্রুত) প্রকল্পে অসমের চারটি শহর মনোনীত হয়েছে। সারা দেশে ৫০০ শহরকে বাছাই করা হয়েছে। তাদের মধ্যে চলছে বিভিন্ন পর্যায়ের পরীক্ষা-নিরীক্ষা। বিশেষজ্ঞ, পরীক্ষকরা দফায় দফায় ঘুরে শহরগুলিকে নম্বর দেবেন। তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে জঞ্জাল নিষ্কাশন, পানীয় জল সরবরাহ, শৌচাগারে।

জেলাশাসক এস বিশ্বনাথন, পুরপ্রধান নীহারেন্দ্র নারায়ণ ঠাকুরদের চিন্তা— পরীক্ষকদলের পর্যবেক্ষণের দিন যদি রাজ্যপালের সফরের মতো ঘটনা ঘটে, তা হলে জটিলতা বাড়তে পারে। তাই বিভিন্ন ভাবে জনসচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সভা-সমিতি হচ্ছে। তার সঙ্গে জুড়েছে পথনাটক। জেলাশাসক বিশ্বনাথন আশাবাদী, এতে ভাল ফল মিলবে। কারণ নাটক প্রয়োজনীয় বার্তা ছড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। তিনি বলেন, ‘‘এখন সকলের একটাই লক্ষ্য হওয়া উচিত, তা হল অম্রুতে শিলচরের স্থান পাকা করা। ৫০০ শহরের মধ্যে পরীক্ষায় নেমে শিলচরকে তালিকাভুক্ত করা গেলে প্রচুর কেন্দ্রীয় অর্থ পাবে এই শহর। তাতে অনেক পরিকল্পনার বাস্তবায়ন সহজতর হবে। শিলচরও দেশের বিভিন্ন সুন্দর শহরের মধ্যে একটি হয়ে উঠবে।’’

বাঁশের সাঁকোই ভরসা সিঙ্গালার। পরিবর্তনের স্লোগানে রাজ্যে পালাবদল ঘটলেও, সিঙ্গালা রয়েছে সিঙ্গালাতেই। স্বাধীনতার এত বছর পরও সেতু নেই লালা ব্লকের প্রত্যন্ত ওই এলাকায়। কৈয়াখাল পার হতে কয়েক হাজার বাসিন্দার ভরসা বাঁশের সাঁকো। কৈয়াখালের এক দিকে চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। অন্য দিকে আয়নাখাল। দু’দিকে রয়েছে স্কুল, ডাকঘর, ব্যাঙ্ক, চা বাগান। দু’পারের মানুষ যাতায়াত করেন বাঁশের সাঁকো ধরেই। সাঁকো থেকে নীচে পড়ে অনেকে আহতও হয়েছেন। গ্রামবাসীদের ক্ষোভ— ভোটের আগে রাজনৈতিক নেতারা প্রতিশ্রুতি দেন। নির্বাচন মিটতেই তাঁরা উধাও। আয়নাখাল পঞ্চায়েতের সভাপতি চৌধুরী চরণ গোঁড়ের বক্তব্য, দু’টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মাঝামাঝি জায়গায় রয়েছে সাঁকোটি। সে জন্যই সেখানে পাকা সেতু নির্মাণে সমস্যা হচ্ছে। লালার বিডিও সরফরাজ হক জানান, দ্রুত উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE