রবিবার মুম্বইয়ে এক অনুষ্ঠানে মোদী। ছবি: পিটিআই
সংরক্ষণ থাকবে না উঠে যাবে, তা নিয়ে জল্পনা চলছিলই। বিহার-ভোট শুরুর মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন, সংরক্ষণ তুলে দেওয়া নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছেন বিরোধীরা। তবে বিহারে নয়, এই মন্তব্য করার জন্য তিনি বেছে নিলেন মুম্বইয়ে অম্বেডকর স্মারকের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠান।
ক’দিন আগেই আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত সংরক্ষণ-নীতি পর্যালোচনার দাবি জানিয়েছিলেন। তার পর থেকেই বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ-সহ দলের ছোট-বড় নেতারা বলে এসেছেন, সংরক্ষণ উঠবে না। কিন্তু মোদী মুখ খোলেননি। সেই সুযোগে বিহারের ভোট ময়দানে লালু-নীতীশরা সংরক্ষণ-বিতর্ককে অস্ত্র করে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচার শুরু করেছিলেন। লালু প্রসাদ দাবি করেন, মোহন ভাগবত যখন সংরক্ষণ তুলে দেওয়ার কথা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী চুপ কেন? বিহারের ভোটে জাতপাতের সমীকরণ মাথায় রেখে এই বিতর্কের মোড় অন্য দিকে ঘুরতে দেখেই আজ সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন মোদী। তিনি বলেন, যখনই ক্ষমতায় আসে বিজেপি বা ভোট আসে, তখনই একদল প্রচার শুরু করে বিজেপি সরকার সংরক্ষণ তুলে দেবে। অটলবিহারী বাজপেয়ীর সময়েও এই অপপ্রচার হয়েছিল।
সম্প্রতি গুজরাতে পটেলদের সংরক্ষণ চেয়ে আন্দোলন শুরু করেন হার্দিক পটেল। হার্দিকের দাবি ছিল, যদি সাধারণ ও সম্ভ্রান্ত সম্প্রদায়কে সংরক্ষণ দেওয়া যেতে না পারে, তা হলে বাকিদেরও দেওয়া যাবে না। আরএসএস সংরক্ষণ তুলে দেওয়াকেই সমর্থন জানায়। পরে স্বয়ং ভাগবত এ নিয়ে মন্তব্য করায় মহাজোট শিবির বিষয়টিকে অস্ত্র করে ফেলে। পরিস্থিতি বেসামাল দেখে ভোটের মুখে মাঠে নামতে হল মোদীকেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy