Advertisement
২২ মার্চ ২০২৩

শিলচরের পুজোয় সঙ্কল্প-মন্ত্র ডিএমের

অসমের কাছাড় জেলায় সরকারি টাকা খরচ না হলেও দু-দু’টি পুজো হয় প্রশাসনেরই উদ্যোগে। শিলচর আদালত প্রাঙ্গণের পুজোয় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন জেলাশাসক। তিনিই পুজোর সঙ্কল্প-মন্ত্র পাঠ করেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলচর শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৩:৫৭
Share: Save:

আগরতলা দুর্গাবাড়িতে সরকারি খরচে দুর্গাপূজা হয়। বলির মোষও কিনে দেয় ত্রিপুরা সরকার। অসমের কাছাড় জেলায় সরকারি টাকা খরচ না হলেও দু-দু’টি পুজো হয় প্রশাসনেরই উদ্যোগে। শিলচর আদালত প্রাঙ্গণের পুজোয় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন জেলাশাসক। তিনিই পুজোর সঙ্কল্প-মন্ত্র পাঠ করেন।

Advertisement

কমিটির উপহার হিসেবে দেওয়া ধুতি-পাঞ্জাবি পরে পুজোর কাজকর্ম করেছেন সদ্যবিদায়ী এস বিশ্বনাথনও। এ মাসেই দায়িত্ব নিয়েছেন কাছাড়ের নতুন জেলাশাসক এস লক্ষ্মণন। তাঁর নামেই দুর্গাপুজোর সঙ্কল্প পাঠ হবে জেনে শুরু থেকেই তিনি উৎফুল্ল। সার্কল অফিসারই সেখানকার সভাপতি। অফিসপাড়ার বাসিন্দারা ওই পুজো শুরু করেছিলেন। কয়েক বছর চালানোর পর অক্ষমতা প্রকাশ করলে সার্কল অফিসের কর্মচারীরা সে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। শিলচর আদালত প্রাঙ্গণের পুজোর সূচনা ১৯৬৫ সালে। তখন জেলাশাসকই ছিলেন জেলা বিচারক। এখন বিচার বিভাগ আলাদা হলেও বিচারক-সহ সবাই পুজোয় সামিল হন। অন্য ধর্মাবলম্বীরাও স্বেচ্ছায় চাঁদা দেন বলে জানান সারা অসম জেলা প্রশাসন কর্মচারী সংস্থার কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিক্রমজিৎ চক্রবর্তী।

আদালত প্রাঙ্গণে মহাষ্টমীর সকালে কুমারীপুজোও হয়। আরেক জেলাশাসক গৌতম গঙ্গোপাধ্যায়ের পরামর্শে ঢাক-বাদ্যে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। হরেন্দ্রকুমার দেবমহন্ত তাঁর আমলে স্ত্রী-র নিজস্ব খরচে টাইলস দিয়ে সাজিয়ে তোলেন পুজোমণ্ডপ।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.