কার্তি চিদম্বরম। ফাইল চিত্র।
দু’দিন আগেই তাঁর বাড়ি-অফিসে তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। তার পরিপ্রেক্ষিতে এ বার প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের ছেলে কার্তির বিরুদ্ধে আর্থিক নয়ছয়ের মামলা দায়ের করল ইডি।
ইডি আজ কার্তি চিদম্বরমের পাশাপাশি একটি মিডিয়া সংস্থা ও তার মালিক পিটার ও ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও আর্থিক নয়ছয় প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছে। ইউপিএ জমানায় নিয়মের বাইরে গিয়ে পিটার-ইন্দ্রাণীর সংস্থাকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কার্তির বিরুদ্ধে। অভিযোগ, প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগে ছাড়পত্রের ক্ষেত্রে অর্থ মন্ত্রক ওই সংস্থাকে বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দিয়েছিল। সে সময় চিদম্বরমই ছিলেন অর্থমন্ত্রী। সেই সুবাদেই প্রভাব খাটিয়ে কার্তি তাঁদের ছাড়পত্র পাইয়ে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। বিনিময়ে তিনি ৩ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা পান। সিবিআই যখন ওই দুর্নীতির তদন্ত করছে, তখন দুর্নীতি থেকে পাওয়া টাকা কোথায় গেল, তার তদন্ত করবে ইডি। সূত্রের খবর, প্রয়োজনে সম্পত্তি বাজেয়াপ্তও করা হতে পারে।
চিদম্বরম অবশ্য আগেই অভিযোগ করেছেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই তাঁর ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে সিবিআই ও ইডি-কে নামিয়েছে মোদী সরকার। কারণ কাশ্মীর বা মাওবাদী সমস্যা থেকে নোট বাতিলের মতো বিষয়ে তিনি সরকারের বিরুদ্ধে সরব। আজ ইডি মামলা দায়ের করার পর চিদম্বরম দিল্লিতে এবিপি নিউজের শিখর সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছিলেন। কিন্তু প্রথমেই তিনি শর্ত দিয়ে রেখেছিলেন, রাজনৈতিক বিষয়ে তাঁকে কোনও প্রশ্ন করা যাবে না। এমনকী রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নিয়েও কোনও প্রশ্ন করা যাবে না।
ছেলের বিরুদ্ধে তদন্ত নিয়ে নতুন করে মুখ না খুললেও, মোদী সরকারকে আক্রমণ করা থেকে বিরতি দেননি চিদম্বরম। অভিযোগ তুলেছেন, নোট বাতিলের ফলে কালো টাকা, দুর্নীতি বা জাল নোটের মতো কোনও সমস্যারই সমাধান হয়নি। বাতিল নোটের কতটা ব্যাঙ্কে ফেরত এসেছে, তার হিসেব এখনও প্রকাশ করা হল না কেন, সে প্রশ্নও তিনি তুলেছেন।
কালই কার্তি লন্ডনে গিয়েছেন। তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, এমন নয় যে কার্তি পালিয়ে গিয়েছেন। কিংবা বিজয় মাল্য-ললিত মোদীর মতো তিনি দেশে ফিরবেন না। ব্যবসার কাজে তাঁর লন্ডন সফর আগেই ঠিক ছিল। বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী অবশ্য দাবি তুলেছেন, এখনই গ্রেফতার করা হোক পিতা-পুত্রকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy