পড়ুয়ার পরীক্ষার রেজ়াল্ট ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে। ছবি: সংগৃহীত।
পরীক্ষায় ভাল নম্বর পেলে খুশিই হন বাবা-মায়েরা। কিন্তু গুজরাতের চতুর্থ শ্রেণির এই ছাত্রের ক্ষেত্রে হল উল্টোটাই। পরীক্ষার ফল দেখে তাঁদের চক্ষু চড়কগাছ। কারণ, তাঁদের সন্তানের প্রাপ্ত নম্বর মোট নম্বরের চেয়েও বেশি। ওই পড়ুয়ার পরীক্ষার রেজ়াল্ট ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে। এর পরেই স্কুলটির পড়াশুনোর মান নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে সকলে। কী কারণে এই ত্রুটি তা খুঁজতে স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে শুরু করা হয়েছে তদন্ত।
গুজরাতের ঝালড় তালুকার খরসানা গ্রামের একটি প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়া বংশীবেন মনীশভাই গুজরাতি ভাষা পরীক্ষায় ২০০-য় পেয়েছে ২১১ এবং অঙ্কে পেয়েছে ২০০-য় ২১২। বাড়িতে ফিরে নিজের বাবা-মাকে রেজ়াল্ট দেখাতেই এই গলদ ধরা পড়ে। ইন্ডিয়া টুডে-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই ভুল চোখে পড়া মাত্রই ওই পড়ুয়ার হাতে সংশোধিত রেজ়াল্ট তুলে দেওয়া হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে সে গুজরাতি ভাষায় পেয়েছে ১৯১ এবং অঙ্কে ১৯০। ভাইরাল হওয়া রেজ়াল্টে দেখা যাচ্ছে। গুজরাতি, হিন্দি, অঙ্ক, পরিবেশবিদ্যা এবং ইংরাজি সব বিষয়েই খুব ভাল ফল করেছে ওই পড়ুয়া।
এর আগে ২০২৩ সালে মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্ক পরীক্ষার ফলাফলেও একই রকম গলদ ধরা পড়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী আয়েশা আনসারি ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় পেয়েছিলেন ১১৫। অন্য পড়ুয়ারা যথাক্রমে, আম্মারা আনসারি ১০৫, আশফা খান ১০১, মারিয়া মোমিন ১০৯, রিফা মোমিন ১১১ এবং আসিয়া সাইক ১০৬ পেয়েছিলেন। এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আধিকারিক জানিয়েছিলেন, সফট্অয়্যারে ত্রুটির কারণে এই ঘটনা ঘটেছিল। সকল পড়ুয়ার হাতে সংশোধিত রেজ়াল্ট তুলে দেওয়া হয়েছিল। যদিও গুজরাতের ওই স্কুলটিতে কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল তার কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy