ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মধু কোড়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল নির্বাচন কমিশন। আগামী তিন বছর কোনও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না তিনি। ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে সিংভূম কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে প্রচারে কত টাকা খরচ করেছিলেন মধু কোড়া, তার সঠিক হিসেব তিনি দিতে পারেননি কমিশনে। কেন দিতে পারেননি সেই হিসেব, তার স্পষ্ট ব্যাখ্যাও দিতে পারেননি। সেই কারণেই মধু কোড়ার উপর কমিশন নিষেধাজ্ঞা জারি করল।
আরও পড়ুন:মায়ানমার সীমান্তে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, বিধ্বস্ত জঙ্গি শিবির
২০০৬-এর সেপ্টেম্বর থেকে ২০০৮-এর অগস্ট— প্রায় দু’বছর ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন মধু কোড়া। ২০০৯ সালে তিনি সিংভূম লোকসভা কেন্দ্র থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়তে নামেন। নির্বাচনে জয়ীও হন। কিন্তু নির্বাচনী প্রচারে তিনি কত খরচ করেছিলেন, তার সঠিক হিসেব কোড়া নির্বাচন কমিশনকে দেননি বলে অভিযোগ ওঠে। ২০১০ সালের অক্টোবরেই কমিশন নোটিস পাঠিয়েছিল মধু কোড়াকে। তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কেন সাংসদ পদ খারিজ করা হবে না, জানতে চেয়েছিল কমিশন। বিষয়টি নিয়ে আইনি প্রক্রিয়া এত দিন চলছিল। অবশেষে কমিশন জানাল, নির্বাচনে যা খরচ করেছিলেন কোড়া, তার সঠিক হিসেব তিনি কমিশনকে দেননি। তাই আগামী তিন বছরের জন্য তিনি কোনও নির্বাচনে লড়তে পারবেন না।
আরও পড়ুন:‘দেশকে দারিদ্র দেখাতে চান মোদী-জেটলি’
২০১৯ সালেই দেশে সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু ২০২০ সাল পর্যন্ত কোড়ার উপর নিষেধাজ্ঞা থাকছে। তাই আগামী লোকসভা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ মধু কোড়ার সামনে থাকবে না।