উত্তরপ্রদেশে ভরাডুবি উপনির্বাচনে। নরেন্দ্র মোদী-বাহিনী দুষছে যোগী আদিত্যনাথকে। যোগী-বাহিনী দুষছে মোদীকে। আর তা নিয়েই তুলকালাম লখনউ থেকে দিল্লি।
গোরক্ষপুর-ফুলপুরের ফল স্পষ্ট হতেই গত কাল অমিত শাহের টিম থেকে যোগী সরকারের মন্ত্রী হওয়া নেতারা মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করতে শুরু করেছেন। বেগতিক বুঝে যোগী হারের দায় নিজের ঘাড়ে নিয়ে বলেন, ‘‘অতি-আত্মবিশ্বাসেই হার।’’ আজ বিজেপির এক প্রাক্তন সাংসদ রমাকান্ত যাদব তো খোলাখুলি যোগীর বিরুদ্ধে সরব হন। তাঁর অভিযোগ, ‘‘এটা দলিত ও পিছিয়ে পড়া শ্রেণিকে অবজ্ঞার ফল। সেখানেই বাজি মেরেছেন অখিলেশ যাদব এবং মায়াবতী। শুধু পুজো-পাঠ করে রাজ্য চালানো যায় না।’’
যোগী শিবিরের নেতারা বলছেন, গোরক্ষপুরের প্রার্থী বাছাই করেছেন মোদী-অমিতই। যোগীর ডানা ছাঁটতে আনা হয়েছে বাইরে থেকে প্রার্থী। যাঁকে এলাকার মানুষই চেনেন না, তাঁকে কী করে জেতানো যাবে? কিন্তু প্রতিপক্ষ শিবিরের বক্তব্য, যিনি নিজের দুর্গেই জিততে পারেন না, তিনি ত্রিপুরা, গুজরাতে গিয়ে কোন জয়ের কৃতিত্ব দাবি করেন?
সব মিলিয়ে বিজেপির অন্দরে হার নিয়ে কোন্দল চরমে। বিজেপি সাংসদ শত্রুঘ্ন সিন্হা টুইট করেছেন, ‘বন্ধু যোগীজির জন্য খারাপ লাগছে। ঠিকই বলছেন তিনি। ট্রাম্প, মিত্রোঁ বা বিরোধী, যে-ই হোন, অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস পতনের কারণ।’ বিজেপি সূত্রের খবর, উত্তরপ্রদেশের ফল নিয়ে কয়েক জন শীর্ষ নেতার সঙ্গে আজ বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। হারের জন্য বিরোধীরা যে ভাবে মোদীকেই কাঠগড়ায় তুলে একজোট হচ্ছে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন দল। আর চাপের মুখে যোগী আজকের সব কর্মসূচি বাতিল করে দেন। শুধু অফিসে বসে বৈঠক করেন অফিসারদের সঙ্গে।
তবে বিজেপির এক নেতা আজ বলেন, ‘‘পারস্পরিক দোষারোপ করে কোনও লাভ হবে না। বিরোধীরা যখন এই সুযোগে আরও একজোট হচ্ছে, তখন ভবিষ্যতের রণকৌশল স্থির করতে দলেরও একজোট হওয়া দরকার। তিনিও অবশ্য মনে করেন, এই পরাজয় যোগীর কাছে একটি বার্তা। যিনি নরেন্দ্র মোদীর উত্তরসূরি হিসেবে নিজেকে মেলে ধরতে যথেষ্টই তৎপর।
আরও পড়ুন: ভুলিনি! রাগ সন্তানহারার
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy