এক বছর পর আজ মস্কোর মাটিতে পা রাখলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তাঁর এ বারের সফরের মেয়াদ পাঁচ দিনের। সাউথ ব্লক জানাচ্ছে, শক্তি, প্রতিরক্ষা এবং সংযোগ ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও ঘনিষ্ঠ করার লক্ষ্য নিয়েই মস্কো পৌঁছলেন জয়শঙ্কর। শুধুমাত্র রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গেই তাঁর বৈঠক সীমাবদ্ধ থাকবে না। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে আরও বেশ কিছু রুশ শীর্ষ নেতার পাশাপাশি ভারতের বিদেশমন্ত্রী বৈঠক করবেন সে দেশের উপপ্রধানমন্ত্রী তথা বাণিজ্যমন্ত্রী জেনিস মানতুরভ-এর সঙ্গেও।
আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য করে যুদ্ধের আবহেও রাশিয়া থেকে লাগাতার তেল আমদানি করে গিয়েছে ভারত। স্বাভাবিক ভাবেই আমেরিকা-সহ গোটা পশ্চিমের নজর রয়েছে জয়শঙ্করের সফরের দিকে। যুদ্ধের জেরে ২০২১ সালের পর থেকে ভারত-রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক বন্ধ থাকলেও বিদেশ মন্ত্রকের মতে, ভারত এবং রাশিয়ার সম্পর্ক সময়ের সঙ্গে সঙ্গে টেকসই হয়েছে। তা স্থিতিশীল, ফলাফল নির্ভর। বিশেষ কৌশলগত সম্পর্কের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। পশ্চিমি বিশ্ব একঘরে করে দিলেও ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারই হয়েছে মস্কোর। এক কথায়, পশ্চিমের সামনে এই ভাষ্যই নয়াদিল্লি তুলে ধরতে চাইছে যে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ যাতে শেষ হয়, সে কারণে সংলাপ এবং কূটনীতির কথা বারবার বোঝাবে মোদী সরকার। কিন্তু নিজেদের জ্বালানি এবং প্রতিরক্ষা নিরাপত্তার স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে নয়।
আজ মস্কো পৌঁছে হোটেলের সামনে টুপি-দস্তানা পরা একটি ছবি পোস্ট করেছেন জয়শঙ্কর। লিখেছেন, ‘‘মস্কো পৌঁছেছি। আমার বৈঠকগুলি এ বার শুরু হবে।’’ গত বছরও শীতকালে মস্কো গিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী। আলোচনা হয়েছিল যুদ্ধ নিয়ে। জয়শঙ্কর জানিয়েছিলেন, ‘‘এখন আমরা এই যুদ্ধের প্রভাবটা টের পাচ্ছি। কিন্তু তা ছাড়াও আঞ্চলিক ক্ষেত্রে বহু দিন ধরে সন্ত্রাসবাদের সমস্যা রয়েছে। দেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধির পথে বাধা তৈরি করছে এই সমস্যাগুলি।’’ কূটনৈতিক শিবির বলছে, এই সব সমস্যা এক ইঞ্চিও কমেনি, বরং বেড়েছে। ফলে তাঁর এ বারের সফরে সমস্যাগুলিকে কী ভাবে দেখা হয়, সে দিকেও নজর থাকবে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)