Advertisement
E-Paper

শাস্তির ভয়ে ইস্তফা ভুয়ো ডিগ্রিধারী শিক্ষকদের

হাজতবাসের ভয়ে চাকরি ছাড়ছেন ভুয়ো ডিগ্রিধারী শিক্ষকরা! এমনই কাণ্ড ঘটছে বিহারে। গত তিন সপ্তাহে রাজ্যে প্রায় ১ হাজার ৪০০ শিক্ষক ইস্তফা দিয়েছেন। এ কথা জানিয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পি কে শাহি বলেন, ‘‘কয়েক দিন ধরে আমরা বেশ কিছু পদত্যাগপত্র পেয়েছি।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০১৫ ০৩:০৩

হাজতবাসের ভয়ে চাকরি ছাড়ছেন ভুয়ো ডিগ্রিধারী শিক্ষকরা! এমনই কাণ্ড ঘটছে বিহারে।

গত তিন সপ্তাহে রাজ্যে প্রায় ১ হাজার ৪০০ শিক্ষক ইস্তফা দিয়েছেন। এ কথা জানিয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পি কে শাহি বলেন, ‘‘কয়েক দিন ধরে আমরা বেশ কিছু পদত্যাগপত্র পেয়েছি।’’

কিন্তু হঠাৎ এমন হচ্ছে কেন?

শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছর পটনা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। তাতে অভিযোগ করা হয়েছিল, রাজ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলে কর্মরত সাড়ে তিন লক্ষ পূর্ণ সময়ের এবং পার্শ্ব শিক্ষকের অনেকে নকল ডিগ্রির শংসাপত্র দাখিল করে চাকরি করছেন। পটনা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এল নরসিংহ রেড্ডি এবং বিচারপতি সুধীর সিংহের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হয়। আদালত গোটা ঘটনার তদন্তের জন্য শিক্ষা দফতরকে নির্দেশ দেয়। একইসঙ্গে বিচারপতিরা জানিয়ে দেন, কারও কাছে ভুয়ো শিক্ষা-নথি থাকলে তিনি দ্রুত পদত্যাগ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে শাস্তির হাত থেকে বেঁচে যাবেন। না হলে পরে তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে কারাবাস করতে হতে পারে। ৮ জুলাই পদত্যাগ প্রক্রিয়ার শেষ দিন হিসেবে ঘোষণা করে আদালত।

শিক্ষা দফতরের খবর, তার পর থেকেই ইস্তফার হিড়িক পড়েছে। শিক্ষামন্ত্রী পি কে শাহি জানিয়েছেন, রাজ্যের বিভিন্ন মাধ্যমিক স্কুলে প্রায় ১১ হাজার পূর্ণ সময়ের শিক্ষক রয়েছেন। পদত্যাগপত্রের বেশিরভাগই মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষকদের দেওয়া। শিক্ষা দফতরের তরফে নজরদারি কমিটি গড়ে তদন্ত করানো হচ্ছে। ওই কমিটি শংসাপত্র দেখে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। নকল শংসাপত্র পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তার জেরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে ভুয়ো ডিগ্রি থাকা শিক্ষক মহলে। শিক্ষা দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, শুধু জাল শংসাপত্র নয়, অনেক ক্ষেত্রে নম্বর বাড়িয়ে শংসাপত্র তৈরি করেও দাখিল করা হয়েছে। খাস পটনায় এমন ৭৫ জন শিক্ষককে চিহ্নিত করা গিয়েছে, যাঁরা নকল তৈরি করেছেন।

অভিযোগ উঠেছে, নীতীশ কুমারের আমলে ওই শিক্ষকরা চাকরি পেয়েছেন। আদালতের নির্দেশ এবং জিতেন্দ্র তোমর কাণ্ডের পরে টনক নড়েছে রাজ্য সরকারের। ভাবমূর্তি বাঁচাতে তা-ই নকল শংসাপত্রধারী শিক্ষকদের পদত্যাগ করানো হচ্ছে। বিরোধী শিবিরের বক্তব্য, এতে এক দিকে আদালতের নির্দেশও মানা হচ্ছে, অন্য দিকে শাস্তির মুখ থেকে বাঁচছেন ওই সব শিক্ষকরাও। এই অভিযোগ মানতে চাননি শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘আমরা আদালতের নির্দেশ মেনেই কাজ করছি।’’

Fake degree racket Bihar Education department nitish kumar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy