আগুনে সব হারালেন করাতিগ্রামের ১১০ পরিবার। গত কাল গভীর রাতে আগুন লাগায় কেউ কিছু বাঁচাতে পারেননি। কী খাবেন, কী পরবেন— সেই আশঙ্কায় পড়েছেন সকলে। চিন্তা আরও বেড়েছে, জাতীয় নাগরিক পঞ্জীতে নাম তোলার জন্য প্রয়োজনীয় নথিগুলি পুড়ে যাওয়ায়। কী করে সে সব নথি ফের সংগ্রহ করবেন, বুঝে উঠতে পারছেন না তাঁরা। শিলচরের বিজেপি বিধায়ক দিলীপকুমার পাল, পুরপ্রধান নীহারেন্দ্র নারায়ণ ঠাকুররা অবশ্য তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন। স্থানীয় কংগ্রেস বিধায়ক তথা রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী অজিত সিংহও তাঁদের সাহায্য করতে কাছাড়ের জেলাশাসক এস বিশ্বনাথনকে নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছেন, করাতিগ্রামের ওই জায়গাটি বস্তি এলাকা। অধিকাংশ বাঁশ-বেতের ঘর। ফলে মুহূর্তে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। গভীর রাত হওয়ায় মানুষ ঘুম থেকে উঠে কোনও ভাবে শিশু-বৃদ্ধদের উদ্ধার করেছেন। কেউ কোনও জিনিস বাঁচাতে পারেননি। এলাকাবাসীর অভিযোগ, দমকল বাহিনী অনেক দেরিতে গিয়েছে। কিন্তু দুটি ইঞ্জিনে জলই ছিল না।
আজ রামকৃষ্ণ মিশন সেবাশ্রমের পক্ষ থেকে দুপুরে সকলের খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। কংগ্রেস নেতা দেবাশিস দেব জানিয়েছেন, রাতের খাবারের ব্যবস্থা করেছেন মন্ত্রী অজিত সিংহ। পুরসভার বিজেপি সদস্যরা অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির মধ্যে বাসনপত্র বিলি করেন। পুর-সভাপতি নীহারেন্দ্র নারায়ণ ঠাকুর, উপ-সভাপতি চামেলি পাল, বিধায়ক দিলীপকুমার পাল, বিজেপির জেলা সভাপতি কৌশিক রাইও তখন উপস্থিত ছিলেন। ওই সব সামগ্রী বিতরণ কালে তাঁরা এলাকার কংগ্রেসি পুর সদস্য ন্যান্সি দাসকেও ডেকে নেন।
ওই সব সামগ্রী হাতে নিয়েও তাঁরা বলছিলেন— কাগজপত্রের কী হবে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy