‘সংকল্প রথযাত্রা’য় আরএসএস কর্মীরা। শনিবার। নিজস্ব চিত্র
অযোধ্যায় রামমন্দির তৈরির শপথ নিতে আরএসএস ‘সংকল্প রথযাত্রা’র প্রথম দিনটা অন্তত মিইয়ে গেল রাজধানীতে।
দিল্লিতে আরএসএসের দফতরের সামনে থেকে এ দিন রথ তার যাত্রা শুরু করল বটে। কিন্তু মেরেকেটে শ’খানেক লোকেরও দেখা মিলল না। যদিও সঙ্ঘের আশা ছিল, কম করে লাখো মানুষের ভিড় হবে।
দিল্লির সব এলাকা ঘুরে ৯ ডিসেম্বর এই রথ পৌঁছবে রামলীলা ময়দানে। সেখানে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের উদ্যোগে ধর্মসভার আয়োজন করা হচ্ছে। কিন্তু প্রথম দিনেই ভিড় না হওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েছেন সঙ্ঘ পরিবারের দিল্লির নেতারা। এই সংকল্প রথযাত্রার প্রধান আয়োজক ছিল আরএসএস-এর অর্থনৈতিক শাখা, স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ। মঞ্চের নেতা কমল তিওয়ারির যুক্তি, প্রথম দিন রথযাত্রায় দিল্লির মাত্র একটি অংশের কর্মী-সমর্থকরাই যোগ দিয়েছেন। আগামী কয়েক দিনে গোটা দেশের স্বদেশি জাগরণ মঞ্চের সদস্যরা এসে পৌঁছবেন। দিল্লিকে আটটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি অংশেই রথ পৌঁছবে। আগামী ৯ ডিসেম্বরের ধর্মসভায় রামলীলা ময়দানে কয়েক লক্ষ মানুষের সমাবেশ হবে বলে তাঁর দাবি।
এই রথযাত্রার মধ্যেই ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বর্ষপূর্তি পড়ছে। স্বাভাবিক ভাবেই এই সময়টায় রামমন্দির নিয়ে নতুন করে আবেগ উসকে দিতে চাইছে গেরুয়া শিবির। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের অপেক্ষায় না থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপরে আইন করে অযোধ্যায় রামমন্দির তৈরির চাপ তৈরি করা হচ্ছে। কিন্তু এই শীতকালীন অধিবেশনেও সংসদে এমন কোনও বিল আনার পরিকল্পনা নেই বিজেপির। বরঞ্চ মন্দিরের আবেগটাকেই হাতিয়ার করে ভোটে যেতে চায় তারা।
এ দিন তাই আয়োজনে ত্রুটি ছিল না। রথের সামনে নারকেল ফাটানো হল। শ্রীরামচন্দ্রের কাটআউটে মালা পরিয়ে পুজো-অর্চনাও হল। আরএসএসের আঞ্চলিক সঙ্ঘচালক কুলভূষণ আহুজা দিল্লির ঝান্ডেওয়ালা মন্দিরের সামনে রথকে সবুজ ঝান্ডা দেখালেন। ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি উঠল। রথের মতো করে সাজানো ট্রাকের মাথা থেকে স্লোগান উঠল, ‘মন্দির ওহি বনায়েঙ্গে’। এত কিছু হল, খালি ভিড়টাই যা জমল না।
কংগ্রেস নেতা মিম আফজল পরে কটাক্ষ করে বললেন, ‘‘মন্দিরের দাবি কার কাছে? সরকার তো বিজেপিরই। সরকার তা হলে নিজের অবস্থান সংসদে স্পষ্ট করুক!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy