মাকেন আজ দিল্লি প্রদেশ সভাপতি পদ থেকে স্বাস্থ্যের কারণে ইস্তফা দিয়েছেন বলে ঘোষণা করেছেন।—ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটে দিল্লিতে অরবিন্দ কেজরীবালের সঙ্গে সমঝোতার পথ প্রশস্ত করতে অজয় মাকেনের ইস্তফা চেয়ে নিলেন রাহুল গাঁধী। মাকেন আজ দিল্লি প্রদেশ সভাপতি পদ থেকে স্বাস্থ্যের কারণে ইস্তফা দিয়েছেন বলে ঘোষণা করেছেন। তাঁর ঘনিষ্ঠদের দাবি, জোটের স্বার্থেই এই পদত্যাগ। কংগ্রেস সূত্রের খবর, গত কাল তিনি রাহুলের কাছে গিয়ে ইস্তফা দিয়ে এসেছেন।
মাকেন বরাবরই কেজরীবাল-বিরোধী বলে পরিচিত। লোকসভা ভোটে আপের সঙ্গে যখন কংগ্রেসের সমঝোতার ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়ে আছে, সেই সময় মাকেনকে সরিয়ে শীলা দীক্ষিতের মতো কাউকে আনতে চান রাহুল। শীলাও কেজরীবাল-বিরোধী।
তবে ক’দিন আগে দু’দলে সমঝোতার বিষয়টি হাইকম্যান্ডের উপর ছেড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু এর পরই শিখ-বিরোধী দাঙ্গায় কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দেওয়া নেতা সজ্জন কুমারের শাস্তির পর সম্প্রতি রাজীব গাঁধীর ‘ভারতরত্ন’ কেড়ে নেওয়ার প্রস্তাব পাশ হয় দিল্লি বিধানসভায়। রে-রে করে ওঠে কংগ্রেস। বেঁকে বসেন শীলা।
আপ অবশ্য দ্রুত ক্ষত মেরামত করে নেয়। বিধানসভার স্পিকার দাবি করেন, এমন কোনও প্রস্তাব পাশই হয়নি। গত কাল দিল্লির অকালির বিধায়ক মনজিন্দর সিংহ সিরসা ফের আপত্তি তুললে আপের বিধায়কেরা তাঁকে বিধানসভার বাইরে ঠেলে পাঠান। প্রতিবাদে শিখ-বিরোধী দাঙ্গা মামলার আবেদনকারী এইচ এস ফুলকা কাল আপের পদ থেকে ইস্তফা দেন।
লোকসভা ভোটে রাজ্যে রাজ্যে মোদী-বিরোধী মহাজোটকে শক্ত করতে অনেক দিন ধরেই সক্রিয় রয়েছেন রাহুল। দিল্লিতেও কেজরীবালের সঙ্গেও জোট করার ক্ষেত্র প্রস্তুত করে রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু সময় নিচ্ছিলেন দিল্লিতে দলে অসন্তোষ থাকায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে চন্দ্রবাবু নায়ডুও কংগ্রেস ও আপের মধ্যে যোগসূত্র গড়তে উদ্যোগী হন। এগিয়ে আসেন কেজরীবালও।
কংগ্রেস নেতাদের বক্তব্য, ১৪ জানুয়ারির পরে বিভিন্ন রাজ্যে দলের সংগঠনকে ঢেলে সাজাবেন রাহুল গাঁধী। দিল্লিতে যদি শীলাকে দলের ভার দেওয়া হয়, তা হলে তাঁর সঙ্গে আরও দু’জন কার্যনির্বাহী সভাপতিও নিয়োগ করা হতে পারে। মাকেনকে নিয়ে আসা হতে পারে কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় কমিটিতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy