ঘরছাড়া হাতির ভার ‘পড়শি’র হাতে তুলে দিয়ে অসমে ফিরলেন রাজ্যের বনকর্তা, হাতি বিশেষজ্ঞরা।
খাবারের লোভ দেখিয়ে, কুনকি হাতি দিয়ে তাড়িয়ে বা ঘুম পাড়ানি গুলি ছুঁড়ে অসম থেকে নদীর জলে ভেসে বাংলাদেশে ঢুকে যাওয়া হাতিটিকে ডাঙায় নিয়ে আসার অনেক চেষ্টা করেছিলেন দু’দেশের বনকর্মী, পশু চিকিৎসকরা। কিছুতেই লাভ হয়নি। তাই ওই হাতিকে অসমে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা মাঝপথে ছেড়ে ভারতে ফিরে এলেন তিন প্রতিনিধি।
মাস দেড়েক আগে কাজিরাঙার কোনও জায়গা থেকে নদীতে পড়ে গিয়েছিল হাতিটি। মরিগাঁও, গুয়াহাটি, ধুবুরির পাশ দিয়ে ভেসে জলসীমান্ত পার করে সেটি পৌঁছয় বাংলাদেশে। এক জনকে পিষে মারে। ‘অতিথি’কে দেখতে বাংলাদেশের জামালপুরের বাসিন্দারা নৌকোয় প্রতি দিন ভিড় জমাচ্ছেন তার আশপাশে। এমনই পরিস্থিতিতে ৩ অগস্ট ঘরের হাতিকে ঘরে ফিরিয়ে আনতে পড়শি দেশে যান অসমের হাতি বিশেষজ্ঞ কৌশিক। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বন্যপ্রাণ অপরাধ দমন শাখার ইনস্পেক্টর অসীম মল্লিক, পশু চিকিৎসক সৈয়দ হোসেন। তাঁরা জানান, গত তিন দিন ধরে কুনকি হাতি দিয়ে তাড়িয়ে, কখনও খাবারের লোভ দেখিয়ে তাকে নিরাপদ, শুকনো ডাঙায় নিয়ে আসার চেষ্টা করা হয়েছিল। ডার্ট গান থেক বাক তিনেক গুলিও ছোড়া হয়। কিন্তু কোনও চেষ্টাই সফল হয়নি। হাতিটি এক বার জল থেকে উঠে ডাঙায় এলেও, ফের জলে নেমে পড়ে। ভারতের প্রতিনিধিরা জানিয়ে দেন, এ ভাবে হাতি উদ্ধার করে অসমে ফেরাতে অনেক দিন সময় লাগতে পারে। তা-ই তাঁরা হাতিটির ভার আপাতত বাংলাদেশের হাতে ছেড়ে ভারতে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তাঁরা জানিয়েছেন, পরে হাতিটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হলে শেরপুরের গজনির হাতি আবাসস্থলে ছেড়ে দেওয়া হবে। সেখানে ভারত থেকে আসা কয়েকটি হাতিও রাখা হয়েছে। ঘরছাড়া ওই হাতিটি রয়েছে মাদারগঞ্জের হরিরামচরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy