E-Paper

বিতর্কিত চিনা মানচিত্রের বিরোধিতায় সরব আরও চার দেশ

ফিলিপিন্স, মালয়েশিয়া, তাইওয়ান এবং ভিয়েতনামও চিনের এই মানচিত্র নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই অভিযোগ, চিনা মানচিত্র তাদের দেশের সার্বভৌমত্বকে ক্ষুণ্ণ করছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৭:৫৬
An image of India and China

—প্রতীকী চিত্র।

বেজিংয়ের প্রকাশিত মানচিত্রে ভৌগোলিক সম্প্রসারণবাদের প্রকাশ রয়েছে বলে স্পষ্ট জানিয়েছে নয়াদিল্লি। এ বার ভারতের সুরে সুর মেলাতে দেখা গেল পুর্ব এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশকে। মানচিত্রে অরুণাচলপ্রদেশকে দক্ষিণ তিব্বত আখ্যা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও দক্ষিণ চিন সাগরের ৯০ শতাংশ নিজেদের বলে দাবি করেছে শি জিনপিং সরকার।

ফিলিপিন্স, মালয়েশিয়া, তাইওয়ান এবং ভিয়েতনামও চিনের এই মানচিত্র নিয়ে আপত্তি
জানিয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই অভিযোগ, চিনা মানচিত্র তাদের দেশের সার্বভৌমত্বকে ক্ষুণ্ণ করছে। ভিয়েতনাম, ফিলিপিন্স চিনা মানচিত্রের বিরোধিতায় সরকারি ভাবে বিবৃতি প্রকাশ করেছে। তাইওয়ানের বিদেশমন্ত্রী দাবি করেছেন, চিন এর পরে ভারত মহাসাগরের দিকে হাত বাড়াবে। ভিয়েতনাম সরকার বিবৃতি দিয়ে বলেছে, স্প্র্যাটলি ও পারাসেল দ্বীপের এলাকাগুলি নিজেদের বলে দাবি করেছে চিন। এ ছাড়াও জলভাগের বেশ কিছুটা এলাকাও মানচিত্রে চিনের অন্তর্ভুক্ত বলে দেখানো হয়েছে, যা একেবারেই অবৈধ।

ভারতের পথেই হেঁটে ফিলিপিন্স সরকারও চিনের এই ‘স্ট্যান্ডার্ড ম্যাপের’ কড়া নিন্দা করেছে। এই মানচিত্রে পশ্চিম ফিলিপিন্স সাগরের বেশ কিছু অংশকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা আদতে ফিলিপিন্সের এলাকা।

ফিলিপিন্সের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মা তেরেসিতা দাজা বলেছেন, “আমাদের সামুদ্রিক অঞ্চলগুলির উপরে চিন তার দখলকে বৈধতা দিতে চাইছে। আন্তর্জাতিক আইন, বিশেষ করে সমুদ্রের আইন সম্পর্কিত ১৯৮২ সালের রাষ্ট্রপুঞ্জের কনভেনশন অনুযায়ী, এর কোনও ভিত্তি নেই।” চিনকে এই কনভেনশনের অধীনে দায়িত্বশীল ভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে ফিলিপিন্স।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

India-China Conflict Maps

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy