Advertisement
E-Paper

গগৈয়ের সমালোচনা এড়ালেন রাজ্যপাল

রাজ্যপাল বনোয়ারিলাল পুরোহিত রাজভবনকে আরএসএসের কার্যালয়ে পরিণত করেছেন বলে গত কালই অভিযোগ করেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। আজ বরাকে এসে সে অভিযোগের ধারে কাছেও যাননি রাজ্যপাল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০১৭ ০৩:১৩
সঙ্ঘ পরিবারের এক সভায় অসমের রাজ্যপাল বনোয়ারিলাল পুরোহিত। শনিবার শিলচরে। ছবি: স্বপন রায়।

সঙ্ঘ পরিবারের এক সভায় অসমের রাজ্যপাল বনোয়ারিলাল পুরোহিত। শনিবার শিলচরে। ছবি: স্বপন রায়।

রাজ্যপাল বনোয়ারিলাল পুরোহিত রাজভবনকে আরএসএসের কার্যালয়ে পরিণত করেছেন বলে গত কালই অভিযোগ করেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। আজ বরাকে এসে সে অভিযোগের ধারে কাছেও যাননি রাজ্যপাল। বরং শিলচরে আরএসএস-এর সহযোগী সংস্থার সভায় উপস্থিত হয়ে বুঝিয়ে দিলেন, গগৈর সমালোচনা গায়ে মাখছেন না নাগপুরের মানুষটি।

আজ এখানে দক্ষিণ অসম, ত্রিপুরা ও মিজোরামের আরোগ্য মিত্রদের তিন দিনের সম্মেলনের উদ্বোধন করলেন রাজ্যপাল। পরে বক্তৃতা করতে গিয়ে বার বার তাঁর ঈশ্বর-বিশ্বাসের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ভারতীয় সংস্কৃতি ও দর্শনের সঙ্গে একটা ভগবৎ যোগ রয়েছে।

সঙ্ঘ পরিবারের শাখা সংগঠন ‘কেশব স্মারক সংস্কৃতি সুরভি’ তিন দিনের এই সম্মেলনের আয়োজক। আরোগ্য মিত্র তাদেরই নিঃশুল্ক হোমিওপ্যাথি সেবা প্রকল্প। রাজ্যপাল আজ আরোগ্য মিত্রদের প্রশংসা করে বলেন, নিষ্ঠা ও সেবার মনোভাব নিয়ে তাঁরা যে কাজ করছেন, সেটা মূলত ঈশ্বরেরই কাজ। চিকিৎসার পাশাপাশি তিনি ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ প্রচারেও গুরুত্ব দিতে পরামর্শ দেন।

সম্মেলনে স্বাগত ভাষণ দেন সুরভির প্রান্ত-সভাপতি শুভ্রেন্দুশেখর ভট্টাচার্য। ছিলেন সেবাভারতীর জাতীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রাকেশ জৈন, উত্তর-পূর্বের সাংগঠনিক সম্পাদক নরেশকুমার বিকল প্রমুখ। আরোগ্য মিত্রদের সম্মেলনে আজ চার জনকে সম্বর্ধিত করা হয়। তাঁরা হলেন অরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়, লালদোহামা জেডাং, রবি কান্নন ও শঙ্কর ভট্টাচার্য।

বিকেলে রাজ্যপাল বনোয়ারিলাল পুরোহিত ক্যাপ্টেন এন এম গুপ্ত ট্রফি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন। সেখানেও গগৈয়ের প্রসঙ্গ এক বারের জন্যও উল্লেখ করেননি। সাংবাদিকদের অপ্রীতিকর প্রশ্ন এড়াতে তাঁদেরও রাজ্যপালের ধারেকাছে ঘেঁষতে দেওয়া হয়নি।

সতীন্দ্রমোহন দেব স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে রাজ্যপাল বলেন, খেলার মাঠে কোনও রাজনীতি নেই। এটি হল প্রকৃত বন্ধুত্বের জায়গা। তবে ফুটবলের জনপ্রিয়তা কমার জন্য তিনি সরকারি নীতিকে দায়ী করেন। পুরোহিত বলেন, এক সময় দেশে ফুটবল সবচেয়ে জনপ্রিয় ছিল। ক্রিকেটের থাবায় সেই জনপ্রিয়তা হারাতে হয়েছে। সরকার ফুটবলের বিকাশে উপযুক্ত প্রশিক্ষণে গুরুত্ব দেয়নি। জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি বাদল দে, জেলাশাসক এস বিশ্বনাথনও খেলার শুরুতে বক্তৃতা দেন।

Banwarilal Purohit Tarun Gogoi
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy