‘গুডস অ্যান্ড সার্ভিস ট্যাক্সেস’ (জিএসটি) চালুর রাস্তা সুগম করতে এনডিএ শাসিত রাজ্যগুলিতে এ সংক্রান্ত সংবিধান সংশোধনী বিল বিধানসভায় পাশ করিয়ে নিতে বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই পথে হেঁটে ভারতের প্রথম রাজ্য হিসেবে ‘রাজ্য জিএসটি সংবিধান সংশোধনী বিল’ পাশ করল অসম। আজ বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে বিলটি উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। কংগ্রেস ও ইউডিএফ আপত্তি তুললেও সংখ্যাধিক্যের ধ্বনিভোটে বিল পাশ হয়ে যায়।
বিল পাশ হওয়ার পরে ফোনে মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “দেশের প্রথম রাজ্য হিসেবে জিএসটি সংক্রান্ত সংবিধান সংশোধনী বিল পাশ করানোয় অসমের নাম সকলে মনে রাখবে। জিএসটির মাধ্যমে রাজ্য লাভবান হবে। বাড়বে রাজস্ব সংগ্রহ।”
কংগ্রেস ও ইউডিএফ দাবি করেছিল, রাজ্যে জিএসটির প্রভাব কী হতে পারে, তা যাচাই করার পরেই বিল পাশ করানো হোক। কিন্তু সংখ্যাধিক্যের সামনে তাঁদের দাবি টেকেনি। ১২২-তম সংশোধনীটি বিধানসভায় সর্বসম্মত ভাবে পাশ হওয়ার কথা ঘোষণা করেন স্পিকার রঞ্জিৎ দাস। এর পর তিনি ও অর্থমন্ত্রী একে অন্যের মিষ্টিমুখও করিয়ে দেন।
হিমন্ত বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী চেয়েছিলেন অসমই যাতে এই সংশোধনী পাশ করা প্রথম রাজ্য হয়। তাই অধিবেশন শেষ হওয়ার আগের দিন বিল পাশ করিয়ে শিল্পক্ষেত্রে ইতিবাচক বার্তা দেওয়া হল। অসম সাধারণত সব ক্ষেত্রে পিছনে
পড়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে আমরাই পথিকৃৎ হয়ে থাকলাম।”
হিমন্ত বিধানসভায় জানান, কেন্দ্রীয় জিএসটির মধ্যে থেকেও ৪২ শতাংশ রাজ্যকে ফেরত দেওয়া হবে। জিএসটিতে উত্তর-পূর্ব ও হিমালয়ান রাজ্যগুলির জন্য বিশেষ ছাড়ের সুযোগও রাখা হয়েছে। তারা নির্দিষ্ট কারণ দেখিয়ে কর হার কমানোর আবেদন জানাতে পারে। আবার প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় বিশেষ কর আদায়ও করতে পারে।
সোমবার লোকসভায় জিএসটি সংক্রান্ত ১২২-তম সংশোধনী বিলটি পাশ হয়েছে। কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এম বেঙ্কাইয়া নায়ডু জানান, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি ২০১৭ সালের ১ এপ্রিল থেকে জিএসটি চালু করার লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছেন। তা করতে হলে শীতকালীন অধিবেশনের আগে ২৯টি রাজ্যের মধ্যে অন্তত ১৬টি রাজ্যে ওই সংশোধনী পাশ করাতে হবে।
সম্প্রতি এনডিএ শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের দিল্লিতে তলব করে এ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয় বিজেপি হাইকম্যান্ড। এনডিএর হাতে আছে ১৩টি রাজ্য। ওই রাজ্যগুলিতে বর্ষাকালীন অধিবেশনে বা প্রয়োজনে বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডেকে বিল পাশ করাতে বলা হয়েছে।
নায়ডু জানান, তাঁর সঙ্গে ১৫টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এ নিয়ে কথা হয়েছে। দিল্লি বিধানসভাও বর্ষাকালীন অধিবেশনেই বিলটি আনবে। অন্তত ১৬টি রাজ্য জিএসটি সংক্রান্ত সংশোধনীতে সম্মতি দিলে তা জিএসটি কাউন্সিলে পাঠানো হবে। তারা এর পর নতুন কর কাঠামো নির্ধারণ করবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy