শপথ নেওয়ার দু’মাসের মধ্যেই সঙ্কটে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নায়েব সিংহ সাইনি। সে রাজ্যের বিজেপি সরকারের উপর থেকে মঙ্গলবার সমর্থন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করলেন তিন নির্দল বিধায়ক। আগামী ২৫ মে ষষ্ঠ দফায় সে রাজ্যের ১০টি লোকসভা আসনের সবগুলিতে ভোটগ্রহণ হবে। তার আগে এই ঘটনায় বিজেপি সরকার কার্যত গরিষ্ঠতা হারাল বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন।
মঙ্গলবার বিকেলে রোহতকে যৌথ সাংবাদিক বৈঠক ডেকে সাইনি সরকারের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের পাশে থাকার ঘোষণা করেন নির্দল বিধায়ক রণধীন গোলান (পান্ডুরি), ধর্মপাল গোন্ডার (নিলোখেরি) এবং সোমবীর সিংহ সঙ্গওয়ান (দাদরি)। সঙ্গওয়ান বলেন, ‘‘আমাদের সঙ্গে বাদশাপুরের নির্দল বিধায়ক রাকেশ দৌলতাবাদও রয়েছেন। তিনি রাস্তায় আটকে পড়ায় সময় মতো এখানে পৌঁছতে পারেননি।’’
আরও পড়ুন:
নির্দল বিধায়কদের সমর্থন প্রত্যাহারের ফলে হরিয়ানার সংখ্যালঘু বিজেপি সরকার বিপাকে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ঘটনাচক্রে, গত মার্চ মাসেই উপমুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বিজেপি সরকারের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেছিলেন ১০ বিধায়কের দল জেজেপি (জননায়ক জনতা পার্টি)-র প্রধান দুষ্মন্ত চৌটালা। তাঁর দল আলাদা ভাবে ভোটেও লড়ছে।
আরও পড়ুন:
৯০ সদস্যের হরিয়ানা বিধানসভায় গরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ৪৬ জন বিধায়কের সমর্থন। বর্তমানে দু’টি আসন খালি থাকায় সেই জাদুসংখ্যা হয়েছে ৪৫। স্পিকার-সহ বিজেপির রয়েছে ৪০ জন বিধায়ক। পাশাপাশি, হরিয়ানা লোকহিত পার্টির গোপাল কান্ডাও সাইনি সরকারকে সমর্থন জানাচ্ছেন। ছ’জন নির্দলের মধ্যে চার জন সমর্থন তুলে নিলে গরিষ্ঠতার জাদুসংখ্যা ছুঁতে পারবে না বিজেপি। বিরোধী শিবিরে কংগ্রেসে ৩০, জেজেপি ১০ এবং আইএনএলডি ১ জন বিধায়ক রয়েছেন। প্রসঙ্গত, গত ১২ এপ্রিল মনোহরলাল খট্টরকে সরিয়ে সাইনিকে মুখ্যমন্ত্রী করেছিল বিজেপি।