শিলচরে হাইকোর্টের বেঞ্চ স্থাপনের আর্জি খারিজ করল গৌহাটি হাইকোর্ট। হাইকোর্টের রেজিস্টার তথা জনসংযোগ আধিকারিক বি কে ছেত্রী জানিয়েছেন, আদালতের সিদ্ধান্তের কথা রাজ্য সরকারকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে আশাহত হয়েছেন বরাক উপত্যকার বাসিন্দারা। তথ্য জানার অধিকার আইনে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে শিলচরে বেঞ্চ স্থাপন নিয়ে প্রশ্ন পাঠিয়েছিলেন শিলচর আদালতের আইনজীবী ধর্মানন্দ দেব। উত্তরে ছেত্রী জানান— বরাক উপত্যকায় হাইকোর্টের পৃথক বেঞ্চ গঠন যুক্তিসঙ্গত নয়। গৌহাটি হাইকোর্টের সমস্ত বিচারপতি এই বিষয়ে বৈঠকে বসেছিলেন। সেখানে বিভিন্ন দিক নিয়ে তাঁরা মতবিনিময় করেন। শেষে পৃথক বেঞ্চ স্থাপন না করার সিদ্ধান্তই গৃহীত হয়।
শিলচর বার লাইব্রেরির সভাপতি অনিলচন্দ্র দে বলেন, ‘‘গত অক্টোবরে তিন জেলার আইনজীবীদের নিয়ে গঠিত সমণ্বয় কমিটি হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করেছিল। পরে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠক করা হয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, গৌহাটি হাইকোর্টে স্থায়ী প্রধান বিচারপতি নিয়োগের পর ওই প্রক্রিয়া শুরু হবে।’’ অনিলবাবুর বিশ্বাস, গৌহাটি হাইকোর্টে স্থায়ী প্রধান বিচারপতি দায়িত্ব নেওয়ার পর শিলচরে হাইকোর্টের বেঞ্চ স্থাপন করা হবে। তবে তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের দাবি মানা না হলে আন্দোলনের রাস্তা খোলা রয়েছে।
জেলা কংগ্রেস সভাপতি অরুণ দত্ত মজুমদার বলেন, ‘‘শিলচরে হাইকোর্টের বেঞ্চ স্থাপনের জন্য দফায় দফায় দাবি জানিয়েছি। বরাকের আইনজীবীরা স্মারকপত্র দিয়েছেন। এ নিয়ে রাজ্যের আইনমন্ত্রী অজন্তা নেওগের সঙ্গে কথা বলব।’’
বিজেপি বিধায়ক দিলীপকুমার পাল বলেন, ‘‘বরাক উপত্যকা থেকে গুয়াহাটি যাতায়াতের সমস্যা রয়েছে। পৃথক বেঞ্চ গঠিত হলে সাধারণ মানুষ ন্যায়বিচার পেতেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy