মঞ্জুনাথ স্বামী মন্দিরে কুমারস্বামী।
দু’দলের মিলিজুলি সরকার হচ্ছে। শেষ মুহূর্তে কিছু দর কষাকষি স্বাভাবিক। কিন্তু তাতে যেন রাজ্য স্তরে জোটের এবং জাতীয় স্তরে বিরোধী ঐক্যের ছবিটি ঘেঁটে না যায়, গোড়া থেকে সে ব্যাপারে সতর্ক ভাবে এগিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। সতর্ক জেডি (এস)-এর এইচ ডি কুমারস্বামীও। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদে কাল শপথ নেবেন তিনি। আজ মঞ্জুনাথ স্বামী মন্দির দর্শনে গিয়ে কুমারস্বামী বলেন, ‘‘জানি, আমার কাজটা কঠিন। তবে মন্ত্রিসভা গঠন নিয়ে কোনও মনোমালিন্য নেই।’’ তাঁর বাবা এইচ ডি দেবগৌড়াও বলেন, ‘‘মন্ত্রিসভায় কারা থাকবেন তা নিয়ে কোনও বক্তব্য নেই আমার।’’
এখনও পর্যন্ত যা খবর, ২২-১২ সূত্র ধরে এগোচ্ছে দু’দল। অর্থাৎ ৭৮ বিধায়কের কংগ্রেস থেকে মন্ত্রী হবেন ২২ জন। বিএসপির এক জন-সহ ৩৭ বিধায়কের জেডি (এস) পাবে মুখ্যমন্ত্রী-সহ ১২ জন মন্ত্রী। রাহুল চেয়েছিলেন, বুধবার কুমারস্বামীর শপথ নির্বিঘ্নে হয়ে যাক। তার পরে হোক মন্ত্রিসভা গঠন। সেই অনুযায়ীই এগোচ্ছে সব। আজকের আলোচনায় ঠিক হয়েছে, রাহুলের প্রস্তাব মতো স্পিকার এবং দু’জন উপমুখ্যমন্ত্রী হবেন কংগ্রেস থেকে। জেডি (এস)-এর সঙ্গে আলোচনার পরে কংগ্রেসের কে সি বেণুগোপাল জানান, স্পিকার হবেন রাজ্যের প্রাক্তন স্পিকার রমেশ কুমার। দু’জন উপমুখ্যমন্ত্রীর এক জন হবেন দলিত নেতা জি পরমেশ্বর। কাল শপথ নেবেন তিনিও। তাঁকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করা হতে পারে। দ্বিতীয় উপমুখ্যমন্ত্রীর পদে লিঙ্গায়তদের সংগঠন তাঁদের নেতা, ৮৭ বছর বয়সি এস শিবশঙ্করকে চাইছে। মুসলিম সংগঠনগুলি চাইছে ৭ বারের বিধায়ক রোশন বেগকে। বিধায়কদের আগলের রাখার জন্য কংগ্রেস ‘পুরস্কৃত’ করতে চায় ডি কে শিবকুমারকে। তাঁকে নিয়ে আপত্তির গুজব উড়িয়ে দিয়ে দেবগৌড়া বলেছেন, ‘‘আমি চাই সরকারটা মসৃণ ভাবে চলুক।’’
আরও পড়ুন: এক মুখ্যমন্ত্রীর শপথই যুদ্ধের মঞ্চ ’১৯-এর
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy