ছবি: প্রতিনিধিত্বমূলক।
বাড়ির ফটক খোলা ছিল। সেখান দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল পোষ্য সারমেয়। আর তার খোঁজ মেলেনি। সে কারণে নিরাপত্তায় মোতায়েন পুলিশকর্মীদের সাসপেন্ড করা হোক, এই দাবি জানিয়ে পুলিশকর্তাকে চিঠি লেখেন দিল্লি হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। শেষ পর্যন্ত যদিও সেই দাবি ফিরিয়ে নেন বিচারপতি।
দিল্লি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্থ দিল্লি পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্তাকে চিঠি দিয়েছিলেন। তিনি এখন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি নিযুক্ত হয়েছেন। বিচারপতি চিঠি দিয়ে জানান, তাঁর নিরাপত্তায় মোতায়েন পুলিশকর্মীরা ফটক আটকাননি। সে কারণে পোষ্য কুকুর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। তিনি চিঠিতে লিখেছেন, ‘‘ব্যথা এবং ক্ষোভ নিয়ে এই চিঠি লিখছি। আমার সরকারি বাংলোয় নিযুক্ত পুলিশ রক্ষীদের নিষ্ঠা এবং যোগ্যতার অভাবের জন্য আমি পোষ্যটিকে হারিয়েছি।’’ তিনি এ-ও জানিয়েছেন, নিরাপত্তা রক্ষীদের বার বার বলা সত্ত্বেও তাঁরা দরজা বন্ধ করেননি। এই কারণে তাঁর জীবনও বিপন্ন হতে পারত। কুকুরটি গাড়িতে চাপা পড়ে মারা গিয়েছে, না কি হারিয়ে গিয়েছে আর জানা যায়নি।
গত ১২ জুন দিল্লি পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (নিরাপত্তা)-কে চিঠিটি লেখেন বিচারপতি কান্থ। সেখানে তাঁর সরকারি বাংলোর নিরাপত্তার দায়িত্বে মোতায়েন রক্ষীদের সাসপেন্ড করার অনুরোধ করেন। সেই নিয়ে তদন্তের অনুরোধও করেন।
দিন কয়েক আগেই দেশের হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতিদের একটি চিঠি দিয়েছেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। সেখানে তিনি জানিয়েছিলেন, বিচারপতিরা যে সুযোগ-সুবিধা পান, তা কোনও মতেই এমন ভাবে ব্যবহার করা উচিত নয়, যাতে অন্যের অসুবিধা হয় বা সমালোচনা হয়। এর পরেই বিচারপতি কান্থের ওই চিঠি প্রকাশ্যে আসে। যদিও শেষ পর্যন্ত নিজের দাবি থেকে সরে আসেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy