—ফাইল চিত্র।
বেজিং-এ যখন ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড (ওবিওআর) কর্মসূচি রূপায়ণের জন্য বিভিন্ন দেশকে নিয়ে সম্মেলনে ব্যস্ত চিন, ঠিক তখনই গিলগিট-বাল্টিস্তানে প্রবল বিক্ষোভ শুরু হল ওই কর্মসূচির বিরুদ্ধে। ওবিওআর-এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ চিন-পাক অর্থনৈতিক করিডরকে ‘দাসত্বের সড়ক’ আখ্যা দিয়ে গিলগিট-বাল্টিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভে নামলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিপুল খরচ করে চিনের কাশগড় থেকে পাকিস্তানের গ্বাদর পর্যন্ত যে অর্থনৈতিক করিডর (সিপিইসি) বানিয়েছে বেজিং, তার বেশ কিছুটা অংশ পাক অধিকৃত কাশ্মীরের গিলগিট-বাল্টিস্তানের মধ্য দিয়ে গিয়েছে। তা নিয়ে ভারত তীব্র প্রতিবাদ তো জানিয়েছেই, এ বার গিলগিট-বাল্টিস্তানের বাসিন্দারাও প্রতিবাদে পথে নেমে পড়লেন।
গিলগিট-বাল্টিস্তান জম্মু-কাশ্মীরের তথা ভারতের অঙ্গ— ১৯৪৮ সাল থেকেই এ কথা বলে আসছে ভারত। কিন্তু অবৈধ ভাবে ওই এলাকা কব্জা করে রাখা পাকিস্তান এখন চিনকে সঙ্গে নিয়ে ওই এলাকার উপর দিয়ে অর্থনৈতিক করিডর বানিয়েছে। যে এলাকা নিয়ে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে বিবাদ চলছে, পাকিস্তানের সঙ্গে একতরফা সমঝোতা করে সেই এলাকায় ঢুকে চিন অর্থনৈতিক করিডর তৈরি করল কোন অধিকারে? প্রশ্ন তুলেছে ভারত। এত দিন প্রশ্নটা শুধু ভারতের সরকার তুলছিল। এ বার গিলগিট-বাল্টিস্তানের সাধারণ মানুষও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। চিন কেন গিলগিট-বাল্টিস্তানে ঢুকল, সেই প্রশ্ন তুলেই বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক সংগঠন এবং ছাত্র সংগঠন গিলগিট-বাল্টিস্তানে বিক্ষোভ দেখিয়েছে বলে খবর। কারাকোরাম স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন, বালাওয়ারিস্তান ন্যাশনাল স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন, গিলগিট-বাল্টিস্তান ইউনাইটেড মুভমেন্ট, বালাওয়ারিস্তান ন্যাশনাল ফ্রন্ট— মূলত এই চারটি সংগঠনই সিপিইসি-র বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে। গিলগিট, হুনজা, স্কার্দু এবং ঘিজার এলাকায় বিক্ষোভ হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রেসিডেন্ট নরম, পার্টি গরম: ভারতের জন্য নতুন দ্বিমুখী নীতি নিচ্ছে চিন
বিক্ষোভকারীদের হাতে যে সব ব্যানার-প্ল্যাকার্ড দেখা গিয়েছে, তাতে আন্তর্জাতিক মহলের উদ্দেশে আবেদন— ‘চিনা সাম্রাজ্যবাদ থামান’। চিন-পাক অর্থনৈতিক করিডরকে ‘দাসত্বের সড়ক’ বলে ডাকতে শুরু করেছেন গিলগিটবাসী। সিপিইসি তথা ওবিওআর কর্মসূচির মাধ্যমে চিন গিলগিট-বাল্টিস্তানকে কব্জা করতে চাইছে বলে স্থানীয় সংগঠনগুলির দাবি। পাকিস্তানের সক্রিয় সহযোগিতায় গিলগিট-বাল্টিস্তানে অবৈধ অনুপ্রবেশ করছে চিন, বলছেন স্থানীয় মানুষ। চিনের এই অবৈধ অনুপ্রবেশ কিছুতেই মেনে নেওয়া হবে না, বলছেন বিক্ষোভকারীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy