Advertisement
২৭ জুলাই ২০২৪

অধিকৃত কাশ্মীর থেকে অবিলম্বে বেরিয়ে যাক চিন, কড়া বার্তা ভারতের

পাক অধিকৃত কাশ্মীরে যে কোনও রকম গতিবিধি অবিলম্বে বন্ধ করুক চিন। কড়া বার্তা ভারতের। কাশ্মীরের ওই অংশ দিয়েই গিয়েছে চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর (সিপিইসি)। চিন যাতে এই প্রকল্প থেকে অবিলম্বে সরে যায়, তার জন্য চিনা প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তরে বার্তা পাঠানো হয়েছে বলে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে শুক্রবার সংসদে জানানো হয়েছে।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০১৬ ১৭:১২
Share: Save:

পাক অধিকৃত কাশ্মীরে যে কোনও রকম গতিবিধি অবিলম্বে বন্ধ করুক চিন। কড়া বার্তা ভারতের। কাশ্মীরের ওই অংশ দিয়েই গিয়েছে চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর (সিপিইসি)। চিন যাতে এই প্রকল্প থেকে অবিলম্বে সরে যায়, তার জন্য চিনা প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তরে বার্তা পাঠানো হয়েছে বলে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে শুক্রবার সংসদে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন:

সূর্য ডুবলেই ওরা পঙ্গু, অদ্ভুত রোগ পাকিস্তানে

পাকিস্তানের গোয়াদরে চিনের সহায়তায় বন্দর তৈরি হচ্ছে। সেই বন্দরের সঙ্গে চিনের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের জন্যই করিডর তৈরি হয়েছে। চিনের কাশগড় থেকে শুরু হওয়া এই করিডর পাক অধিকৃত কাশ্মীরের গিলগিট-বাল্টিস্তান হয়ে পাকিস্তানে ঢুকেছে।

করিডরের কাজ এখনও পুরোপুরি শেষ হয়নি। বিভিন্ন অংশে কাজ এখনও চলছে। ভারতের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ভি কে সিংহ শুক্রবার সংসদে জানিয়েছেন, কাশ্মীরে ঢুকে পাকিস্তানের সঙ্গে চিন যে ভাবে যৌথ পরিকাঠামো গড়ে তুলেছে, তা ভারত মেনে নেবে না। ভিকে সিংহ বলেন, ‘‘পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্যে দিয়েই অর্থনৈতিক করিডর তৈরি করতে চিন সহায়তা করছে পাকিস্তানকে। ভারত সরকার চিনের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে ভারতের উদ্বেগ জানিয়েছে এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে কোনও রকম কার্যকলাপে অংশ নেওয়া থেকে চিনকে বিরত থাকতে বলেছে।’’

ভারতের তরফে চিনকে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে পাকিস্তানের অংশ বলে মনে করার কোনও কারণ নেই। ১৯৪৭ সাল থেকে কাশ্মীরের ওই অংশকে অবৈধ ভাবে দখল করে রেখেছে পাকিস্তান। আসলে পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেরই অংশ। বিতর্কের ফয়সলা না হওয়া পর্যন্ত ওই বিতর্কিত এলাকায় চিন যেন কোনও কার্যকলাপ না চালায়। এ কথা স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে চিনকে। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বলা হচ্ছে যে চিনের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষকেই সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, এই সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ মানে খোদ চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং। তাঁকেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে সরে যেতে হবে চিনকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE