প্যাংগং হ্রদ। ফাইল চিত্র।
লাদাখে চিনা ফৌজের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ তুলল ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক। জবরদখল করা এলাকায় প্যাংগং হ্রদের একাংশের উপর চিনা সেনা সেতু বানাচ্ছে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টও স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে।
তবে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচীর ‘সাফাই’, ২০২০ সালের গালওয়ান-কাণ্ডের সময় প্যাংগং হ্রদের ওই জমি চিনের দখলে যায়নি। গিয়েছিল প্রায় ছ’দশক আগে, ভারত-চিন যুদ্ধের সময়। ১৯৬২ সালের যুদ্ধে প্যাংগং হ্রদের বড় অংশ-সহ লাদাখের আকসাই চিনের বিস্তীর্ণ এলাকার দখল নিয়েছিল ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি’। অরিন্দম বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘দখল করা এলাকায় প্রায় ৬০ বছর আগে থেকেই পরিকাঠামো নির্মাণের কাজ শুরু করে চিন।’’
গত সোমবার প্রকাশিত একটি খবরে দাবি করা হয়েছে, প্যাংগং হ্রদের উত্তর এবং দক্ষিণ অংশের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষার জন্য একটি সেতু বানাচ্ছে চিন। বানানো হচ্ছে সংযোগরক্ষাকারী রাস্তাও। এর ফলে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি)-র বিস্তীর্ণ অংশে দ্রুত সেনা, অস্ত্র এবং রসদ পাঠাতে পারবে তারা।
প্রসঙ্গত, ২০২০-র এপ্রিলে প্যাংগং হ্রদের উত্তরে ফিঙ্গার এরিয়া-৮ থেকে অনুপ্রবেশ করে চিনা ফৌজ। চলে আসে ফিঙ্গার এরিয়া-৪-এর কাছে। জুন মাসে গালওয়ান সংঘর্ষের পরে দ্বিপাক্ষিক শান্তি আলোচনা শুরু হয়। তারই মধ্যে হ্রদের দক্ষিণের বেশ কিছু উঁচু এলাকায় দখল নেয় ভারতীয় সেনা। দফায় দফায় আলোচনার পরে ফেব্রুয়ারিতে দু’পক্ষের সেনাই মুখোমুখি অবস্থান থেকে কিছুটা পিছিয়ে যায়।
একদলীয় চিনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির সংবাদমাধ্যম সম্প্রতি দাবি করেছে, নতুন বছরের প্রথম দিনে পিএলএ পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় লাল পতাকা উড়িয়েছে। তার ভিডিয়ো ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয় চিনা সংবাদমাধ্যম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy