পারস্পরিক স্পর্শকাতরতা, উদ্বেগ, এবং আকাঙ্ক্ষাকে যথাযোগ্য মর্যাদা দিয়ে ভারত এবং চিন তাদের মতপার্থক্যগুলি নিরসনের চেষ্টা করবে। দু’দেশের ঐকমত্যে তৈরি করা হবে মতান্তর নিরসন সংক্রান্ত প্রস্তাব। ডোকলাম সংঘাতের পর আজ প্রথম দ্বিপাক্ষিক সীমান্ত বৈঠকে এই মর্মে একমত হল ভারত ও চিন।
চিনের স্টেট কাউন্সিলর ইয়াং জিয়েচি এবং ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের আজকের বৈঠকে স্বাভাবিক ভাবেই আলোচিত হয়েছে ডোকলাম। সূত্রের খবর, ভারত জানিয়েছে, সীমান্তে পারস্পরিক স্পর্শকাতরতার বিষয়টিকে ভবিষ্যতে মাথায় রেখে না চললে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে তিক্ততা তৈরি হতে বাধ্য। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এই বৈঠকের আগেই সুর কিছুটা নরম করে বার্তা দিয়েছিল বেজিং। আজ ডোভালের সঙ্গে
বৈঠকের পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও দেখা করেছেন জিয়েচি। বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘জিয়েচিকে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, শক্তিশালী ভারত-চিন সম্পর্ক শুধুমাত্র দু’দেশের পক্ষেই নয়, গোটা অঞ্চল এবং বিশ্বের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।’
বিদেশ মন্ত্রকের দাবি, সাম্প্রতিক রাহুগ্রস্ত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আজ অবশেষে কিছুটা অক্সিজেন পেয়েছে। এর পরে ভারত-চিন বাণিজ্যে নয়াদিল্লি তার ঘাটতি পূরণের জন্য কিছুটা মরিয়া ভাবেই অগ্রসর হতে পারবে। আজকের বৈঠকে এটাও আলোচিত হয়েছে যে, মতপার্থক্যের দিকগুলি আলাদা করে মেটানোর প্রয়াস করার পাশাপাশি মতৈক্যের ক্ষেত্রগুলিতে আরও বেশি করে উদ্যোগী হতে হবে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমারের কথায়, ‘‘দু’দেশের বিশেষ প্রতিনিধিরা নিজেদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ বাড়িয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সমস্ত ক্ষেত্রে অগ্রগতির কথা বলেছেন।’’ সীমান্তে শান্তি ও সুস্থিতি বজায় রেখে কিছু বাড়তি আস্থাবর্ধক পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে আজ। চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনয়িং বলেছেন, ‘‘সীমান্ত আলোচনার পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক কৌশলগত যোগাযোগ গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও সহায়ক হবে এই মঞ্চ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy