Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
India-China Clash

প্যাংগং: চার ‘ফিঙ্গারের’ দখল ছাড়তে নারাজ চিন

সেনা সূত্রের খবর, আজকের বৈঠকে মূল আলোচনাটি হয়, প্যাংগং-এর ফিঙ্গার চার থেকে আট পর্যন্ত যে এলাকায় চিন ঘাঁটি গেড়ে বসে রয়েছে, তা দখলমুক্ত করা নিয়ে।

ছবি: পিটিআই।

ছবি: পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২০ ০২:৫০
Share: Save:

লাদাখ সীমান্তে দ্বিতীয় ধাপের সেনা প্রত্যাহার নিয়ে আজ বৈঠকে বসল ভারত-চিন। পূর্ব লাদাখের চুসুলে আজ সকালে ওই বৈঠক শুরু হয়েছে। রাত দশটা পর্যন্ত পাওয়া খবরে দু’পক্ষের ওই বৈঠক চালু রয়েছে। মূলত প্যাংগং লেকের ফিঙ্গার পাঁচ থেকে আট পর্যন্ত এলাকায় চিনের সেনা প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনা চলছে।

সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, চুসুলে দু’তরফের বৈঠক শুরু হয় সকাল সাড়ে এগারোটায়। ভারতের তরফে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সেনার ১৪ কোরের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরেন্দ্র সিংহ এবং চিনের তরফে ছিলেন দক্ষিণ জিংজিয়াং মিলিটারি প্রদেশের কমান্ডার মেজর জেনারেল লিউ লিন। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে চিনা সেনা গত মে মাসে অনুপ্রবেশের পর থেকে এটি ছিল দু’তরফের চতুর্থ বৈঠক। গত ৩০ জুন শেষ বৈঠকটি হয়। তার পরেই ভারতের দাবি মেনে গালওয়ান উপত্যকার পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৪, হট স্প্রিং এলাকার পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৫ ও গোগরা এলাকার পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৭ এবং ১৭ এ থেকে চিনা সেনা দু’কিলোমিটার পিছিয়ে যায়। ভারতও পিছিয়ে আসে দেড় কিলোমিটার। মাঝের ওই বাফার জ়োনে কী ভাবে দু’দেশের সেনা নজরদারি চালাবে, তা নিয়ে আজ আলোচনা হয়েছে।

সেনা সূত্রের খবর, আজকের বৈঠকে মূল আলোচনাটি হয়, প্যাংগং-এর ফিঙ্গার চার থেকে আট পর্যন্ত যে এলাকায় চিন ঘাঁটি গেড়ে বসে রয়েছে, তা দখলমুক্ত করা নিয়ে। এর মধ্যে ফিঙ্গার চার থেকে সেনা অনেকটাই সরিয়ে ফিঙ্গার পাঁচে নিয়ে গিয়েছে চিন। কিন্তু ফিঙ্গার আট পর্যন্ত এলাকা ছেড়ে দিয়ে যাতে চিন ফিরে যায়, তা নিয়েই দফায় দফায় আলোচনা চলেছে। সূত্রের মতে, ওই এলাকা নিজেদের বলে দাবি করে ফিরে যেতে নারাজ চিন। প্রাক্তন সেনানীদের মতে, চিন নিশ্চয়ই ফিরে যাওয়ার জন্য ওই এলাকায় পাকা বাঙ্কার, সেনা ছাউনি তৈরি করেনি। ওই এলাকা থেকে চিনের ফিরে যাওয়ার উপরেই নির্ভর করছে নয়াদিল্লির সাফল্য। যদি অনুপ্রবেশের আগের স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনতে চিন রাজি হয়, সে ক্ষেত্রেই সাফল্য পাবে নরেন্দ্র মোদী সরকার। নচেৎ নয়। প্যাংগং ছাড়াও ডেপসাং এলাকা থেকে চিনের সেনা প্রত্যাহার নিয়েও আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। চিনের পক্ষ থেকে লাদাখ সীমান্তে ধাপে ধাপে সেনা কমানোর প্রশ্নে সওয়াল করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: বাংলো রাখার ‘অনুরোধ’ নিয়ে অস্বস্তি প্রিয়ঙ্কার, নাম জড়াল আহমেদের

ঠিক এক মাস আগে ১৫ জুন রাতে গালওয়ান উপত্যকায় পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৪-য় তীব্র সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দু’দেশের সেনা। সংঘর্ষে ভারতের কুড়ি জন সেনা মারা যান। কিন্তু নিজেদের ক্ষয়ক্ষতি বা মৃতের সংখ্যা নিয়ে এখনও নীরব বেজিং। আজ এক মাসের মাথায় মার্কিন গোয়েন্দা সূত্রে জানানো হয়েছে, মৃত চিনা সেনাদের অন্ত্যেষ্টি করা হয়নি। তাঁদের অন্ত্যেষ্টি সংক্রান্ত কোনও অনুষ্ঠান না করার জন্য পরিবার-পরিজনদের উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলেও খবর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE