সামরিক স্তরে দফায় দফায় বৈঠক হলেও লাদাখ নিয়ে এখনও পর্যন্ত সমাধানে এসে পৌঁছতে পারেনি দুই দেশই। তাই এ বার বিষয়টি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে উদ্যোগী হল ভারত ও চিন। রাশিয়ার মস্কোয় এই মুহূর্তে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর বার্ষিক সম্মেলন চলছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় সেখানেই মুখোমুখি বৈঠকে বসতে পারেন দু’দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ ও উই ফেঙ্গে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) কী ভাবে স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হবে দু’জনের মধ্যে।
জেনারেল উই ফেঙ্গে চিনেরা ক্ষেপণাস্ত্র বাহিনীর কম্যান্ডার ছিলেন। বর্তমানে চিনের স্টেট কাউন্সিলরও তিনি। সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের সদস্যও। ভারত ও চিন, দুই দেশের প্রশাসনিক কর্তাদের মধ্যে লাদাখ নিয়ে এমন বৈঠক এই প্রথম। তাই বৈঠকের নির্যাস কী বেরিয়ে আসে, সেদিকেই এখন তাকিয়ে কূটনৈতিক মহল।
চলতি বছরের মে মাসে লাদাখে এক তরফা ভাবে স্থিতাবস্থা নষ্ট করে চিনা বাহিনী। তার পর থেকে যত দিন গিয়েছে, উত্তেজনা ততই বেড়েছে সেখানে। জুন মাসে প্যাংগং হ্রদের তীরে সংঘর্ষও বাধে দু’পক্ষের মধ্যে। তার রেশ কাটিয়ে ওঠার আগেই গত মাসের শেষ দিকে ফের সেখানে সামরিক পদক্ষেপ করে সংঘর্ষে প্ররোচনা দেয় চিন। তবে প্যাংগংয়ের উত্তরে ফিঙ্গার-৪ এলাকায় সেনা মোতায়েন বাড়িয়েছে ভারত। এলএসি-তে এখনও মুখোমুখি অবস্থান করছে দুই পক্ষ।