নরেন্দ্র মোদী (বাঁ দিকে) এবং শি জিনপিং। —ফাইল চিত্র।
অল্প কয়েক দিন পরেই দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত হতে চলা ব্রিকস সম্মেলনে মুখোমুখি হতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তার আগে পারস্পরিক আস্থার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে সোমবার বৈঠকে বসতে চলেছেন দুই দেশের শীর্ষ সেনা আধিকারিকেরা। সীমান্ত নিয়ে ১৯তম বৈঠকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে বলে সেনা সূত্রের খবর। ভারতের তরফে এই বৈঠকে নেতৃত্ব দেবেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল রশিম বালি।
এর আগে গত ২৩ এপ্রিল এসসিও বৈঠকের আগে সীমান্ত বৈঠকে বসেছিল ভারত এবং চিন। পূর্ব লাদাখের কাছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সেনা সরানো নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছতে পারেনি দু’পক্ষ। ২০১৭ সালে ডোকলাম সংঘাতের পর ২০২০ সালে গালওয়ান উপত্যকায় ভারত এবং চিনের সেনা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়া— বার বার উত্তপ্ত থেকেছে ভারত-চিন সীমান্ত। প্রসঙ্গত, ভারত-চিনের মাঝে থাকা ম্যাকমোহন লাইনকে আন্তর্জাতিক সীমানা হিসাবে কখনওই স্বীকার করেনি চিন। চিনের বিরুদ্ধে একতরফা ভাবে সীমান্তের স্থিতাবস্থা নষ্ট করার অভিযোগ তুলেছে ভারত।
আগামী ৯ এবং ১০ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে হতে চলা জি২০ বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা জিনপিংয়ের। মূল বৈঠকের পাশাপাশি একটি পার্শ্ব বৈঠকও করতে পারেন ভারত এবং চিনের রাষ্ট্রপ্রধান। তার আগেই সীমান্ত পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক করে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে মজবুত করতে চাইছে বেজিং এবং নয়াদিল্লি। কিছু দিন আগেই বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল কিছু দিন আগে চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সীমান্তে শান্তি না ফিরলে চিনের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি হবে না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিল দেশের বিদেশ মন্ত্রক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy