Advertisement
E-Paper

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার সূচকে আরও দু’ধাপ নামল ভারত!

প্যারিসের সংগঠন ‘রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স’-এর ২০১৭ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার সূচকে ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৩৬তম স্থানে ছিল ভারত। এ বছর নেমেছে ১৩৮তম স্থানে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০১৮ ০৩:৫৮

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সংক্রান্ত সূচকে এক বছরের মধ্যে দু’ধাপ নেমে গেল ভারত। তার জন্য আঙুল উঠল নরেন্দ্র মোদীর জমানায় সাংবাদিকদের উপরে আক্রমণের বাড়বাড়ন্তের দিকে। উদাহরণ হিসেবে আন্তর্জাতিক রিপোর্টে উল্লেখ করা হল গৌরী লঙ্কেশের খুনের মতো ঘটনার কথা।

প্যারিসের সংগঠন ‘রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স’-এর ২০১৭ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার সূচকে ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৩৬তম স্থানে ছিল ভারত। এ বছর নেমেছে ১৩৮তম স্থানে। তালিকার শীর্ষে নরওয়ে। শেষ ধাপেসিরিয়া, চিন এবং উত্তর কোরিয়া।

আন্তর্জাতিক সংগঠনটির চলতি বছরের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালে মোদী প্রধানমন্ত্রীর গদিতে বসার পর থেকেই হিন্দু মৌলবাদীরা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে চরম হিংসাত্মক ভাষা ব্যবহার করছেন। এই মৌখিক হিংসাই শারীরিক আক্রমণের দিকে মোড় নিচ্ছে। ভারতে শাসক দলের পক্ষে অস্বস্তিকর যে কোনও তদন্তমূলক রিপোর্ট কিংবা হিন্দু মতাদর্শের সমালোচনা হলেই অনলাইনে সাংবাদিকদের অপমান করা হচ্ছে। তাঁদের খুনের ডাক দেওয়া হচ্ছে। রিপোর্টের মতে, এর বেশির ভাগটাই আসছে প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব ‘ট্রোল আর্মি’ বা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিরোধীদের আক্রমণের জন্য তৈরি বাহিনী থেকে।

সেপ্টেম্বরে খুন হওয়ার আগে বিদ্বেষমূলক বিবৃতির নিশানা হন গৌরী। রিপোর্টে মনে করানো হয়েছে, হিন্দুত্ব, জাতপাত, মহিলাদের প্রতি বৈষম্যের সমালোচনার জন্য খুনের হুমকি পেয়েছিলেন গৌরী। আন্তর্জাতিক সংগঠনটির মতে, ‘‘এই মৌখিক হিংসা আসলে নিজেকে ‘স্ট্রংম্যান’ বলে পরিচয় দেওয়া এক নেতার প্রতি সমর্থন। এমন এক নেতা, যাঁর কর্তৃত্ব সাংবাদিকের দ্বারা সমালোচনা সহ্য করে না।’’

বিরোধীরা বলছেন, মোদী সরকার সমালোচনামূলক খবর হলেই তাকে ‘ভুয়ো খবর’-এর তকমা দিয়ে সাংবাদিকের স্বীকৃতি বাতিল করতে উদ্যোগী হয়েছিল। গৌরী যেমন খুন হন, তেমনই ব্যপম কাণ্ডের খবর করতে গিয়ে রহস্যমৃত্যু হয়েছে সাংবাদিকের। অমিত শাহ-পুত্র জয় শাহের ব্যবসা বা আধার তথ্য ফাঁস নিয়ে খবর করায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। প্রায় একই বক্তব্য ওই রিপোর্টেরও। তাতে বলা হয়, তিন জন সাংবাদিক খুন হন ২০১৭-তে। আরও অনেকের রহস্যমৃত্যু হয়েছে। ‘খবরের কৃষ্ণগহ্বর’-এ পরিণত

Narendra Modi Press Freedom Journalism
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy