India may purchase Milan 2T anti tank guided missile dgtl
National News
মারণ ক্ষেপণাস্ত্র ‘মিলান ২টি’ এ বার ভারতের অস্ত্রভাণ্ডারে? ক্ষমতা জানলে চমকে যাবেন
এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা ট্যাঙ্ক কে-৯ বজ্র সম্প্রতি হাতে পেয়েছে ভারতীয় সেনা। দেশের অস্ত্রভাণ্ডারকে আরও শক্তিশালী করতে এ বার অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল ‘মিলান ২টি’ কেনার চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছে। দেখে নেওয়া যাক এই ক্ষেপণাস্ত্র কতটা শক্তিশালী।
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লিশেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০১৯ ১৩:৪৯
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১০৯
এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা ট্যাঙ্ক কে-৯ বজ্র সম্প্রতি হাতে পেয়েছে ভারতীয় সেনা। দেশের অস্ত্রভাণ্ডারকে আরও শক্তিশালী করতে এ বার অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল ‘মিলান ২টি’ কেনার চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছে। দেখে নেওয়া যাক এই ক্ষেপণাস্ত্র কতটা শক্তিশালী।
০২০৯
‘মিলান ২টি’ প্রস্তুতকারী দেশ ফ্রান্স। ফরাসি ভাষায় মিলান-এর অর্থ ঘুড়ি। এটি সেকেন্ড জেনারেশন অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল।
০৩০৯
মিলান-এর পাঁচটি ভ্যারিয়্যান্ট রয়েছে— মিলান ১, মিলান ২, মিলান ২টি, মিলান ৩ এবং মিলান ইআর। মিলান ৩ এবং ইআর হল থার্ড জেনারেশন অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল।
০৪০৯
১৯৭২ সাল থেকে সেনাবাহিনীতে মিলান-এর ব্যবহার শুরু হয়। সাউথ আফ্রিকান বর্ডার ওয়ার, লেবাননের গৃহযুদ্ধ, ইরান-ইরাক যুদ্ধ, উপসাগরীয় যুদ্ধ, লিবিয়া, ইরাক, সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ এবং ২০১৭-য় ইরাক-কুর্দ সংঘর্ষে খুব কার্যকরী ভূমিকা ছিল এই অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইলের।
০৫০৯
এই মিসাইলে সেমি অটোমেটিক কম্যান্ড টু লাইন অব সাইট (স্যালকোস) সিস্টেম দ্বারা পরিচালিত হয়। অর্থাত্ এক জন অপারেটর থাকেন যিনি লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করার জন্য মিসাইলকে গাইড করেন।
০৬০৯
মিলান শ্রেণির মিসাইলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিশেষত্ব হল, এটা অন্য মিসাইলকে ট্র্যাক করে পিছনের দিকে লাগানো ইনফ্রারেড ল্যাম্প বা ইলেকট্রনিক ফ্ল্যাশ ল্যাম্পের মাধ্যমে।
০৭০৯
এটি ওয়্যার-গাইডেড মিসাইল। অর্থাত্ উত্ক্ষেপণ স্থল থেকে মিসাইলের সঙ্গে সংযোগস্থাপনের ব্যাবস্থাও অনন্য।
০৮০৯
তবে এই ওয়্যার-গাইডেড মিসাইলের রেঞ্জ বেশি হয় না। সর্বাধিক রেঞ্জ চার কিলোমিটার। যেখানে মিলান ২টি-এর রেঞ্জ উত্ক্ষেপণ স্থল থেকে ২ কিলোমিটার।
০৯০৯
ভারত ৩ হাজার ‘মিলান ২টি’ অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল কেনার চিন্তাভাবনা করছে। এগুলো কিনতে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে।