এনার নারায়ণমূর্তি। —ফাইল চিত্র।
স্কুল শিক্ষকদের প্রকৃত প্রশিক্ষণ দিতে কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত বছরে ১০০ কোটি টাকা খরচ করা। বুনিয়াদি শিক্ষার মানোন্নয়ের জন্য এই সওয়ালই করলেন ইনফোসিস কর্তা এনার নারায়ণমূর্তি।
একটি সাক্ষাৎকারে নারায়ণমূর্তি বলেছেন , ‘‘আমাদের উচিত শিক্ষকদের যথাযথ সম্মান ও বেতন দেওয়া। একই সঙ্গে তাঁদের মানোন্নয়নে আরও মনোনিবেশ প্রয়োজন। তাঁরা যাতে বিশ্বমানের ছাত্রছাত্রী তৈরি করতে পারেন। যা সামগ্রিক ভাবে গোটা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার মানকে উন্নীত করবে।’’ কী প্রক্রিয়ায় গোটাটা করা হবে, তা-ও বলেছেন এই শিল্পপতি। তাঁর কথায়, ‘‘প্রতি বছর আড়াই লক্ষ প্রাথমিক শিক্ষক ও আড়াই লক্ষ হাই স্কুলের শিক্ষককে প্রশিক্ষিত করা প্রয়োজন।’’ কারা প্রশিক্ষণ দেবেন? নারায়ণমূর্তির বক্তব্য, ১০ হাজার উচ্চমানের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষককে এই কাজে নিয়োগ করতে হবে। যাঁদের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, কারিগরি ও গণিত— এই চারটি বিষয়ে দক্ষতা রয়েছে। নারায়ণমূর্তি এ-ও বলেছেন, এই প্রক্রিয়াকে নয়া জাতীয় শিক্ষানীতিতেও অন্তর্ভুক্ত করা হোক। তাঁর কথায়, ‘‘প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার মানকে উন্নত না করা গেলে, সামগ্রিক শিক্ষার মানকে কখনওই উন্নীত করা যাবে না।’’
সম্প্রতি সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজের পক্ষে সওয়াল করে নারায়ণমূর্তি বলেছিলেন, “দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানি এবং জাপানের মানুষেরা দেশের উন্নতি করতে অতিরিক্ত সময় কাজ করেছিলেন। ভারতের অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য তরুণ প্রজন্মের আরও কঠিন পরিশ্রম করা উচিত।” নারায়ণমূর্তির এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা হয়। কেউ কেউ তাঁকে উপদেশ দেওয়ার ভঙ্গিতে জানান, বেশি সময় কাজ করলেও উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় না। অনেক রাজনৈতিক দলও নারায়ণমূর্তির এই নিদান নিয়ে সরব হয়েছিল। আবার তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে সমর্থনও করেছিলেন শিল্পপতি সজ্জন জিন্দল। সেই নারায়ণমূর্তি বুধবার বুনিয়াদি শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য নতুন ভাবনার কথা বললেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy