শারীরিক সক্ষমতার প্রমাণ পেলেই যুদ্ধবিমানের ককপিটে বসবেন অভিনন্দন। ছবি: পিটিআই।
বায়ুসেনার কোনও পাইলট অন্য দেশের সেনার হাতে ধরা পড়লে সাধারণত তাঁকে আর যুদ্ধবিমানে ফেরানো হয় না। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। আকাশে ওড়ার জন্য শারীরিক ভাবে সুস্থ হয়ে উঠলেই ককপিটে ফিরবেন উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল বি এস ধানোয়া আজ জানিয়ে দিলেন, ‘‘অভিনন্দনের আকাশে ওড়া নির্ভর করছে ওঁর শারীরিক সক্ষমতার উপরে। এক বার আমরা ওঁর শারীরিক সক্ষমতার প্রমাণ পেলেই তিনি যুদ্ধবিমানের ককপিটে বসে পড়বেন।’’
অভিনন্দনের সঙ্গে কথা বলে বায়ুসেনা কর্তারা জানতে পেরেছেন, পাকিস্তানি সেনার হাতে ধরা পড়ার পরে তাঁকে প্রথম ২৪ ঘণ্টা ঘুমোতে দেওয়া হয়নি। চড়া আলো, তার সঙ্গে জোরে গানবাজনা চালিয়ে রেখে তাঁকে জাগিয়ে রাখা হয়েছিল। বায়ুসেনার কর্তাদের মতে, এর একটাই উদ্দেশ্য ছিল। অভিনন্দনকে মানসিক ও শারীরিক ভাবে দুর্বল করে দিয়ে তাঁর পেট থেকে কথা বার করা। একে শারীরিক অত্যাচারের পর্যায়ে ফেলা না গেলেও, অবশ্যই এটা মানসিক চাপ তৈরি করার কৌশল। যে কোনও গোয়েন্দা বা তদন্তকারী সংস্থাই এই ধরনের কৌশল নিয়ে থাকে। পাক সেনা তথা আইএসআই-ও সেই একই কৌশল নিয়েছিল।
অভিনন্দন নিজেই বায়ুসেনার শীর্ষকর্তাদের জানিয়েছেন, তিনি দ্রুত ককপিটে ফিরতে চান। শুধু শারীরিক নয়। অভিনন্দনের মানসিক ধকল কাটিয়ে ওঠাও জরুরি বলে মনে করছেন বায়ুসেনার কর্তারা। অভিনন্দনের শারীরিক পরীক্ষা করে জানা গিয়েছে, তাঁর পাঁজরের সঙ্গে মেরুদণ্ডেও চোট রয়েছে। মিগ-২১ থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ার ফলে এই চোট লেগেছিল। বায়ুসেনা প্রধানের যুক্তি, ‘‘আমরা যুদ্ধবিমানের চালকের শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিই না। পাইলটের মেরুদণ্ডের চোট পুরোপুরি সেরে ওঠা জরুরি। সেই কারণেই মিগ-২১ থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ার পর ওঁর শারীরিক পরীক্ষা হচ্ছে। ’’
আরও পড়ুন: বাজ বনাম বুড়ো বাইসন
আরও পড়ুন: বালাকোটের অভিযানে হত জঙ্গির সংখ্যা গুনল কে? অমিতই বা সংখ্যাটা জানাচ্ছেন কী করে?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy