মোদী বদলালেন নৌসেনার পতাকা। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
ব্রিটিশ শাসনের স্মৃতিবাহী সেন্ট জর্জ ক্রস আর নয়। এ বার থেকে ভারতীয় নৌবাহিনীর পতাকায় থাকবে ছত্রপতি শিবাজির ‘রাজমুদ্রা’। শুক্রবার কেরলের কোচিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে ভারতীয় নৌবাহিনীর সেই নয়া পতাকার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সঙ্গে বললেন, ‘‘এ বার গোলামির চিহ্ন থেকে মুক্তি পেল নৌসেনার পতাকা।’’
সেই সঙ্গে মোদী জানান, ঔপনিবেশিকতার স্মৃতিবাহী পতাকা বদল করে মরাঠা শাসক ‘ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের রাজমুদ্রা’ প্রতীকযুক্ত পতাকা নৌসেনার হাতে তুলে দিতে তিনি গর্ব অনুভব করছেন। ১৯৫০ সালের পর থেকে এই নিয়ে চার বার রং এবং ধাঁচ বদলাল ভারতীয় নৌসেনার পতাকা। ঘটনাচক্রে, মোদীর আগে কোনও রাষ্ট্রনেতা ভারতীয় সশস্ত্রবাহিনীর কোনও শাখায় ‘গোলামির চিহ্ন’ নিয়ে মন্তব্য করেননি। ঘটনাচক্রে, বিজেপির প্রথম প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর জমানাতেও এক বার ভারতীয় নৌবাহিনীর পতাকা বদল করা হয়েছিল।
নৌসেনার সদ্য-বাতিল পতাকার রং ছিল সাদা। তাতে লাল রঙের ‘ক্রস’ চিহ্ন। সেই লাল ‘ক্রসের’ মধ্যে ছিল ভারতের জাতীয় প্রতীক— অশোক স্তম্ভ। পুরনো পতাকার এক কোণে ছিল ভারতের জাতীয় পতাকা। ওই কোণটিতেই ব্রিটিশ শাসনে ‘রয়্যাল ইন্ডিয়ান নেভি’র পতাকায় শোভা পেত ‘ইউনিয়ন জ্যাক’।
মোদীর উদ্বোধন করা নতুন পতাকায় সাদা পতাকার কোণে জাতীয় পতাকা থাকলেও মুছে দেওয়া হয়েছে জর্জ ক্রস। পাশাপাশি, যুক্ত করা হয়েছে ভারতীয় নৌসেনার প্রতীক এবং স্লোগান— ‘শ নৌ বরুণ’ (বরুণদের আমাদের সৌভাগ্য দিন)। প্রসঙ্গত, বাজপেয়ী জমানায় ২০০১ সালে নৌসেনার পতাকা থেকে জর্জ ক্রস বাদ পড়েছিল। কিন্তু নৌআধিকারিকদের একাংশের সুপারিশে তা ফের ২০০৪ সালে ফিরিয়ে আনা হয়। শুক্রবার কেরলের কোচির ওই কর্মসূচি থেকেই দেশে তৈরি প্রথম বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ আইএনএস বিক্রান্তকে ভারতীয় নৌসেনার হাতে তুলে দেন মোদী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy