Advertisement
E-Paper

নীতীশকে উপেক্ষা, ইস্তফা দেবেন না সাংসদ সাহনী

দলনেতার ইচ্ছেয় পদত্যাগ করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন আর্থিক দুর্নীতিতে অভিযুক্ত জেডিইউ সাংসদ অনিল সাহনী। আজ সকালে পটনায় নিজের বাড়িতে বসে তিনি বলেন, ‘‘গরিবের ছেলে সাংসদ হয়েছি। এটা কেউ মেনে নিতে পারছে না।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০১৬ ০৪:৩১

দলনেতার ইচ্ছেয় পদত্যাগ করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন আর্থিক দুর্নীতিতে অভিযুক্ত জেডিইউ সাংসদ অনিল সাহনী। আজ সকালে পটনায় নিজের বাড়িতে বসে তিনি বলেন, ‘‘গরিবের ছেলে সাংসদ হয়েছি। এটা কেউ মেনে নিতে পারছে না। তাই ফাঁসানো হচ্ছে।’’ সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করবেন বলেও জানিয়ে দিলেন তিনি।

বিহারের সাংসদ অনিল সাহনীর বিরুদ্ধে বিমান-ভ্রমণ না করেই ২৪ লক্ষ টাকার ভুয়ো বিল জমা দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত অক্টোবরে ওই মামলায় সিবিআই চার্জশিটও জমা দিয়েছে। গত কালই রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা উপ-রাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি তাঁর বিরুদ্ধে মামলা চালানোর প্রয়োজনীয় অনুমতি দিয়েছেন। রাজ্যসভার ইতিহাসে অনিলই প্রথম যাঁর বিরুদ্ধে সিবিআইকে মামলা চালানোর অনুমতি দেওয়া হল। এরপরেই জেডিইউ শীর্ষ নেতৃত্ব (পড়ুন নীতীশ কুমার) সাহনীকে ইস্তফার নির্দেশ দেন। কিন্তু সাংসদ পদ ছাড়তে অস্বীকার করেন সাহনী। গোটা বিষয়টিতে অস্বস্তি বেড়েছে জেডিইউ নেতৃত্বের। দলের তরফে এক মন্ত্রীকে বিষয়টি দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সিদ্ধান্তে অনড় অনিল সাহনী।

মামলায় দোষী প্রমাণিত হলে এবং দু’বছরের বেশি সাজা হলে রাজ্যসভার পদ যাবে সাহনীর। টাকা ফেরত-সহ জরিমানাও হতে পারে। জেডিইউ সাধারণ সম্পাদক কে সি ত্যাগির বক্তব্য, ‘‘দলের সর্বভারতীয় সভাপতি বিষয়টি জানেন। সাংসদের বক্তব্যও শোনা হচ্ছে। শীঘ্রই বিষয়টির সমাধান হবে।’’

জেডিইউ সূত্রের বক্তব্য, ২০১৮ সালের জুলাই পর্যন্ত তাঁর সাংসদ পদের মেয়াদ। তিনি ইস্তফা দিলে সেই পদে নতুন কাউকে পাঠাতে পারবেন নীতীশ। এমনিতে রাজ্য রাজনীতিতে কার্যত কোনও গুরুত্ব নেই অনিল সাহানির। মৎস্যজীবী সম্প্রদায়কে কাছে টানতে অনিলকে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছিলেন নীতীশ। অনেকেই মনে করছেন, সেই প্রয়োজন আপাতত ফুরিয়েছে। তাই এক ঢিলে ‘তিন পাখি’ মারতে চাইছেন জেডিইউয়ের সদ্য নিযুক্ত সর্বভারতীয় সভাপতি নীতীশ। দুর্নীতির সঙ্গে আপসহীন মনোভাব তুলে ধরার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ কাউকে রাজ্যসভায় পাঠানো যাবে। তাতে দিল্লির রাজনীতিতে গুরুত্ব বাড়ানো সম্ভব হবে। জুলাইয়েই দলের রাজ্যসভার পাঁচ সাংসদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। নতুন বিধানসভার সংখ্যার হিসেবে এ বার মাত্র দু’জনকেই পাঠাতে পারবে বিজেপি। সাহনী ইস্তফা দিলে সে ক্ষেত্রে আরও এক জনকে দিল্লিতে পাঠানো সম্ভব হতো।

nitish kumar anil sahni
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy