Advertisement
E-Paper

অবতরণের সময় প্রায় দু’টন ধুলো উড়িয়েছে বিক্রম, তৈরি করেছে ‘ইজেক্টা হ্যালো’

২৩ অগস্ট চাঁদের বুকে নেমেছিল বিক্রম ল্যান্ডার। তার ‘সফ্‌ট ল্যান্ডিং’-এর সময় চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে উড়েছিল ধুলো, শিলার টুকরো, মাটি বা রেগোলিথ।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২৩ ১৫:৩৯
image of chandrayaan 3

চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম। — ফাইল চিত্র।

অবতরণের সময় চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে একটি ‘ইজেক্টা হ্যালো’ তৈরি করেছিল চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম। খুঁড়েছিল চাঁদের মাটি, শিলার টুকরো। এ বার সে সব নিয়ে গবেষণা শুরু করল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্র ইসরো।

২৩ অগস্ট চাঁদের বুকে নেমেছিল বিক্রম ল্যান্ডার। তার ‘সফ্‌ট ল্যান্ডিং’-এর সময় চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে উড়েছিল ধুলো, শিলার টুকরো, মাটি বা রেগোলিথ। ওই ধুলো উড়েই ল্যান্ডারের চারপাশে গড়ে উঠেছিল উজ্জ্বল এলাকা। বিজ্ঞানীরা একেই বলছেন ‘ইজেক্টা হ্যালো’ বা ‘রিফ্লেকটেন্স অ্যানোমালি’।

শুক্রবার ইসরো বিবৃতি দিয়ে বলেছে, ‘‘২৩ অক্টোবর অবতরণের সময় চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার চন্দ্রপৃষ্ঠের বিভিন্ন বস্তু উড়িয়ে সুদৃশ ‘ইজেক্টা হ্যালো’ তৈরি করেছিল। ন্যাশনাল রিমোট সেনসিং সেন্টার (এনআরএসসি)-এর বিজ্ঞানীদের ধারণা, অবতরণের সময় ১০৮.৫ বর্গমিটার এলাকা জুড়ে ২.০৬ টন চাঁদের রেগোলিথ উড়িয়েছিল ল্যান্ডার।’’ এই ঘটনা ধরার জন্য চন্দ্রযান-২-এর কক্ষপথে বসানো অরবিটার হাই রেজোলিউশন ক্যামেরা (ওএইচআরসি)-র তোলা ছবির উপর নির্ভর করে রয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বিক্রমের অবতরণের কিছু ক্ষণ আগে এবং পরে তোলা ছবির তুলনা করে দেখছেন তাঁরা। তাতেই দেখা গিয়েছে ল্যান্ডারের চারপাশে রয়েছে উজ্জ্বল এক চক্র।

এই ‘ইজেক্টা হ্যালো’ পরীক্ষার মাধ্যমে চাঁদের রেগোলিথ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা হতে চলেছে বিজ্ঞানীদের। চাঁদের মাটির বৈচিত্র কী, তা জানতে পারবেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের ধারণা, ল্যান্ডারের অবতরণের সময় ২.০৬ টন চাঁদের মাটি, ধুলো (রেগোলিথ) উড়েছে। ল্যান্ডারের অবতরণের প্রভাব চন্দ্রপৃষ্ঠে কী ভাবে পড়ে, তা-ও এ বার জানতে পারবেন বিজ্ঞানীরা।

Chandrayaan-3 Vikram Lander ISRO
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy