কেরলের আঝিকোড়ে দোকানদারহীন দোকান। ছবি সুগুনান পিএমের সৌজন্যে।
কেরলের আঝিকোড়ের লাথু ভয়াল ভ্যাংকু গ্রাম। সেখানে গ্রামের একটি সব্জির দোকানের পাশেই খোলা হয়েছে বিশেষভাবে চাহিদা সম্পন্নদের তৈরি কিছু নিত্যসামগ্রীর দোকান। সেই দোকানের সামনে ঝুলছে একটি বোর্ড। তাতে লেখা, ‘এই দোকানের কোনও দোকানদার নেই। আপনার যা জিনিস লাগবে তা আপনি নিজেই নিয়ে নিন। দ্রব্যটির মূল্য দেখুন ও ক্যাশবাক্সে টাকা রেখে দিন।’
জনশক্তি চ্যারিটেবল ট্রাস্টের উদ্যোগে এই ‘সেল্ফ সার্ভিস’ দোকানটি খোলা হয়েছে। সাবান, ডিটারজেন্ট, ফিনাইল, টয়লেট ক্লিনার, হ্যান্ড ওয়াশ, মোমবাতি, ধূপকাঠি, কাপড়ের ব্যাগের মতো রোজকার দরকারের জিনিসপত্র সাজানো রয়েছে দোকানের তাকে। ৪ জন বিশেষভাবে চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তি ও আশ্রয় স্পেশ্যাল স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা মিলে তৈরি করছে এই দ্রব্যগুলি। এ বছর পয়লা জানুয়ারি দোকান খোলার পর থেকে প্রতিদিন প্রায় এক হাজার টাকার কাছাকাছি জিনিস বিক্রি হচ্ছে।
আঝিকোড় এলাকায় বিশেষভাবে সক্ষমদের উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে জনশক্তি চ্যারিটেবল ট্রাস্ট। মালিক কর্মচারী ছাড়াই দোকান খোলার প্রসঙ্গে ট্রাস্টের কনভেনর সুগুনান পিএম বলেছেন, “এলাকার বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের প্রচেষ্টা সম্পর্কে আমরা অবগত। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য তৈরি করলেও শারীরিক অক্ষমতার জন্য দ্রব্যের মার্কেটিং হয়না, লোকের কাছে পৌঁছনো সম্ভব হয় না। সে জন্যই এই সেল্ফ সার্ভিস দোকানের মাধ্যমে তাদের তৈরি জিনিস পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা।”
দোকানদারহীন দোকান থেকে জিনিস কিনছেন আঝিকোড়ের বাসিন্দারা। ছবি সুগুনান পিএমের সৌজন্যে।
বিশেষভাবে চাহিদাসম্পন্নদের এই চেষ্টা সফল করতে নিজের কাজের ফাঁকেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন পাশের দোকানের সবজি বিক্রেতা। তিনি নিজের দোকানের সঙ্গে সকাল ৬টায় খুলে দেন এই দোকান। সারাদিন খোলা থাকার পর রাত ১০ টায় বন্ধ করে দেন। অবাঞ্ছিত ঘটনা এড়াতে দোকানে একটি সিসিটিভি ক্যামেরাও বসানো হয়েছে। এই দোকানকে সফল করতে তাই ওই এলাকার বাসিন্দাদের সহযোগিতার কথাও উল্লেখ করেছেন ট্রাস্টের কনভেনর সুগুনান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy