কেরলের সেই ভয়াবহ বন্যা। -ফাইল ছবি।
কেরলের ভয়াবহ বন্যার পর মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে টাকা জমা দেওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছিল। যেন কে আগে ত্রাণ, করিবেক দান! অভাব ছিল না প্রচারেরও। কিন্তু আদত ঘটনা হল, ওই ত্রাণ তহবিলে জমা পড়া অর্থের অনেকটাই ছিল ভুয়ো। যা জমা পড়েছিল চেক ও ব্যাঙ্কের ড্রাফ্টের মাধ্যমে। ব্যাঙ্ক সেই সব ভুতুড়ে চেক ও ব্যাঙ্ক ড্রাফ্ট জমা নিতে অস্বীকার করেছে। টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ ৩ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা।
কেরল বিধানসভায় মঙ্গলবার কাসারগড়ের বিধায়ক এন এ নেল্লিকুন্নুর এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। তিনি এও জানিয়েছেন, এমন ভুতুড়ে চেক ও ব্যাঙ্ক ড্রাফ্টের সংখ্যা মোট ৩৯৫টি। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী এ দিন জানান, বন্যাদুর্গত রাজ্যের জন্য গত বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত তাঁর ত্রাণ তহবিলে জমা পড়েছে ২ হাজার ৭৯৭ কোটি ৬৭ লক্ষ টাকা। তার মধ্যে ২৬০ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা জমা পড়েছিল অনলাইন ট্রান্সফারের মাধ্যমে। আর চেক ও ব্যাঙ্ক ড্রাফ্টের মাধ্যমে তহবিলে জমা পড়েছিল মোট ২ হাজার ৫৩৭ কোটি ২২ লক্ষ টাকা। শুধু চেকের মাধ্যমেই জমা পড়েছিল ৭ কোটি ৪৬ লক্ষ টাকা।
পরে কাসারগড়ের বিধায়ক নেল্লিকুন্নু বলেন, ‘‘এখন বোঝা যাচ্ছে, ওই সময় প্রচারের জন্যই অনেকে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে ওই সব ভুতুড়ে চেক ও ব্যাঙ্ক ড্রাফ্ট পাঠিয়েছিলেন।’’
আরও পড়ুন- ইভিএম কারচুপির কৌশল ‘ফাঁস’ হতেই গোপীনাথ মুন্ডের মৃত্যুর তদন্ত দাবি করলেন ভাইপো
আরও পড়ুন- এই বিপর্যয় তো জানাই ছিল
কেরলের ভয়াবহ বন্যার পর মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে টাকা পাঠানোর জন্য এতটাই হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছিল যে, গত ১৪ অগস্ট সেই তহবিল চালু হওয়ার পর দু’সপ্তাহের মধ্যেই তাতে জমা পড়েছিল ৭১৩ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা। নভেম্বরের পর আরও প্রায় ৫০ কোটি টাকা সেই তহবিলে জমা পড়েছিল বলে জানিয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy