নিলামবাজারের একটি স্কুলে লুকিয়েছিল মামাতো ভাইকে অপহরণ-কাণ্ডে অভিযুক্ত যুবক। তা টের পেয়ে বিবেকানন্দ বিদ্যানিকেতন নামে ওই স্কুলের নৈশরক্ষী ধরলেন তাকে। পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় জুবেল আহমেদকে।
পুলিশ জানায়, ৭ বছরের মামাতো ভাই সিরাজউদ্দিনকে অপহরণ করেছিল জুবেল। দাবি করেছিল ৪ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ। থানায় অভিযোগ করেন অপহৃতের পরিজনরা। তাই মুক্তিপণের টাকা নেওয়ার আগেই পুলিশ এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের চাপে অপহৃতকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে গত রাতে লুকিয়েছিল ওই স্কুলে। তা টের পান স্কুলের নৈশরক্ষী। প্রধান শিক্ষককে সে কথা জানান তিনি। খবর যায় স্থানীয় থানার পুলিশের কাছে। পুলিশ যায় ওই স্কুলে। সেখান থেকে জুবেলকে ধরে থানায় নিয়ে আসে। তবে রাতে তার পরিচয় নিয়ে ধন্দ ছিল। সকালে সব কথা প্রকাশ্যে আসে। জানা যায়, মামাতো ভাইকে অপহরণের কথাও।
পুলিশের জেরায় জুবেল জানায়, ইদের জামাকাপড় দেওয়ার অজুবাতে ডেকে নিয়ে গিয়ে সে মামাতো ভাইকে অপহরণ করে। ট্রেনে তাকে নিয়ে প্রথমে শিলচর যায়। সিরাজ তখনও বুঝতেও পারেনি তাকে অপহরণ করা হয়েছে। ৭ জুলাই শিলচর থেকে তাকে করিমগঞ্জে ফিরিয়ে নিয়ে আসে জুবেল। মুক্তিপণের টাকা চায়। কিন্তু পুলিশের চোখ এড়িয়ে সেই পরিকল্পানা বাস্তবায়িত করতে পারেনি। পর দিন মুক্তিপণের টাকা না নিয়েই সিরাজকে এংলাবাজার এলাকায় ছেড়ে দেয় জুবেল।
করিমগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নবীন সিংহ জানান, জুবেল আরও কয়েকটি অপহরণে জড়িত ছিল। অনেক ছিল নাগাল্যান্ডে। নিলামবাজারে তার শ্বশুরবাড়ি। ২০ জুলাই দিল্লি যাওয়ার ছক ছিল জুবেলের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy