বিহারে সরকারি চাকরির পরীক্ষায় দুর্নীতির ষড়যন্ত্রে জড়াল কলকাতার নাম!
এমনই জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। কলকাতার কয়েকটি জায়গায় অভিযানও চালিয়েছে বিহার পুলিশ। সন্দেহের তালিকায় রয়েছে সল্টলেকের একটি ছাপাখানার মালিক। বিহারে সরকারি চাকরি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ছাপা হয়েছিল তাঁরই ছাপাখানায়। এ নিয়ে এখন মুখ খুলতে রাজি নন পটনার এসএসপি মনু মহারাজ। তাঁর বক্তব্য, ‘‘তদন্ত চলছে। অভিযুক্তরা ছাড় পাবে না।’’
তদন্তকারীরা জানান, ২০১২ সালে তামিলনাড়ুতেও সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়। তা-ও ছাপা হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গে। তামিলনাড়ু সিআইডির গোয়েন্দারা সল্টলেকের বাসিন্দা এক ছাপাখানার মালিককে গ্রেফতার করে। পরে জামিনে ছাড়া পান তিনি। আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা পড়েছে।
বিহার পুলিশ সূত্রে খবর, ২০১২ সালে কর্নাটকেও প্রি-ইউনিভার্সিটি প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় কলকাতার একটি ছাপাখানার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। কর্নাটক সিআইডি কলকাতা পুলিশের সাহায্য নিয়ে অভিযান চালায়। কয়েক জনকে গ্রেফতার করে জেরা করা হয়। ই-মেলে প্রশ্ন ফাঁস করা হয়েছিল বলে জেনেছিল কর্নাটক সিআইডি। গত বছর এপ্রিলেও কর্নাটকে প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় নাম জড়ায় কলকাতার ছাপাখানার।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিহার কর্মচারী নিয়োগ আয়োগের প্রশ্ন ফাঁসের খবর পায় পুলিশ। আয়োগের সচিব পরমেশ্বর রাম-সহ দুই কর্মী গ্রেফতার হন। জেরা করা হয় আয়োগের অধ্যক্ষ ১৯৮৭ ব্যাচের আইএএস অফিসার সুধীর কুমারকে। তবে বিশেষ তদন্তকারী দলের কাছে কিছু বলতে রাজি হননি সুধীর কুমার। একই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় লালুপ্রসাদ ঘনিষ্ঠ রামাশিস রায়কে। পরীক্ষা দুর্নীতির সিবিআই তদন্ত চেয়ে পটনা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়।
পুলিশ মহলের খবর, রাজ্যের দুই মন্ত্রীও এই দুর্নীতিতে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রশ্ন ছাপার বরাত দেওয়া থেকে শুরু করে ফোন করে প্রভাব খাটানোয় তাঁদের নামই উঠে আসছে। তদন্তকারীরাও বারবার ‘প্রভাবশালীদের’ জড়িত থাকার কথা বলেছেন। নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন সোস্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পরই বিষয়টি সামনে আসে। প্রশ্নপত্র ছাপার দায়িত্ব পাওয়া ছাপাখানার মালিকের সঙ্গে রাজ্যের এক মন্ত্রীর যোগসাজস রয়েছে বলে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন। আপাতত তাঁদের ফোনের কথোপকথন ঘেঁটে নতুন তথ্য জানার চেষ্টা চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy