কন্নৌজের সভায় মায়াবতী ও ডিম্পল যাদব। ছবি: পিটিআই।
জোটসঙ্গী মায়াবতী বরাবর কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সরব। দু’দিন আগে এক সমাবেশে অখিলেশ যাদবও বলেছিলেন, কংগ্রেসের খুব বড় ‘ইগো’। আর আজ পিটিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসপি নেতা বললেন, ‘‘কেন্দ্রে বিজেপি-র সরকার গঠন প্রতিরোধ নয়, কংগ্রেসের আসল উদ্দেশ্য ২০২২ সালে উত্তরপ্রদেশের ক্ষমতায় আসা।’’
রাজনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, রাহুল গাঁধীর সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমেই বিজেপি-বিরোধিতার চিত্রনাট্য তৈরি করতে চেয়েছিলেন অখিলেশ। জোট হয়নি ঠিকই কিন্তু লোকসভা পরবর্তী পর্যায়ে বিজেপি-কে হঠানোর জন্য পরস্পরের হাত ধরে সরকার গড়তে এখনও ঐক্যবদ্ধ দুই নেতাই। এমনকি, প্রিয়ঙ্কাকে সক্রিয় রাজনীতিতে নিয়ে আসার পরেও এসপি সূত্রে বলা হয়েছিল, কংগ্রেস উচ্চবর্ণের ভোট কেটে বিজেপি-কেই চাপে ফেলবে। এসপি-বিএসপি-আরএলডি জোটের কোনও সমস্যা হবে না।
লোকসভা ভোট শুরু হওয়ার পর অখিলেশ কংগ্রেসের বিরুদ্ধে নিয়মিত কেন সরব হচ্ছেন, তা নিয়ে চর্চা চলছে রাজনৈতিক শিবিরে। অখিলেশের কথায়, ‘‘প্রথম দিন থেকেই আমাদের উদ্দেশ্য খুবই স্পষ্ট। আমরা জোট গড়েছি বিএসপি এবং আরএলডি-র সঙ্গে। যাতে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে আটকানো যায়। কিন্তু পরবর্তী সরকার গড়ার প্রশ্নে বিজেপি-কে রোখাটা কংগ্রেসের আসল উদ্দেশ্য নয়। তারা ২০২২ সালের উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে নিজেদের মুখ্যমন্ত্রী দেখতে চায়। তাদের পায়া ভারী।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
রাজনৈতিক সূত্রের মতে, ভোট এবং জোটের বাধ্যবাধকতার কারণে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে যুযুধান হতে হয়েছে অখিলেশকে। তা না হলেই বরং দলীয় এবং জোটের সমর্থকদের কাছে ভুল বার্তা যেত। তাছাড়া জোট শরিক এবং ঘোর রাহুল–বিরোধী মায়াবতী এবং তার দলকে কিছুটা তুষ্ট রাখাও ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত অখিলেশের অগ্রাধিকারের মধ্যে পড়ে। রাহুল গাঁধীও সম্প্রতি বলেছেন, তাঁর দল শুধুমাত্র কেন্দ্রেই সরকার গড়বে তা-ই নয়, তাঁদের পরবর্তী লক্ষ্য ২০২২ সালের উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন। রাজ্য যাতে শিক্ষা, চাকরি এবং স্বাস্থ্যে এক নম্বরে যেতে পারে সে জন্য লোকসভার পরেও লড়বে কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিকভাবে রাহুলের বিরোধিতায় সরব না হলে তা দলীয় কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করত বলেই এসপি নেতৃত্বের মত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy