Advertisement
০৫ মে ২০২৪

সেনাকে বাদ দিন, বার্তা মোদীকে

অপূর্বার ক্ষোভ, রাজনৈতিক দলগুলি নিজেদের স্বার্থে সেনাকে রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে ফেলছে। এই তরজার জন্যই কি ওঁরা জীবন দিয়েছিলেন?

ক্ষুব্ধ: পুলওয়ামায় নিহত জওয়ান কুশলকুমার রাওয়তের মেয়ে অপূর্বা রাওয়ত।

ক্ষুব্ধ: পুলওয়ামায় নিহত জওয়ান কুশলকুমার রাওয়তের মেয়ে অপূর্বা রাওয়ত।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০১৯ ০৪:৪১
Share: Save:

‘সেনা-রাজনীতি’র অভিযোগে ফের বিদ্ধ নরেন্দ্র মোদী সরকার।

ভোটে জেতার কৌশল হিসেবে রাজনৈতিক তরজার কেন্দ্রে বার বার সেনাকে টেনে আনার অভিযোগ উঠেছে মোদীর বিরুদ্ধে। ফের সেই একই কারণে প্রধানমন্ত্রীকে বিঁধলেন পুলওয়ামায় নিহত জওয়ান কুশলকুমার রাওয়তের মেয়ে অপূর্বা।

অপূর্বার ক্ষোভ, রাজনৈতিক দলগুলি নিজেদের স্বার্থে সেনাকে রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে ফেলছে। এই তরজার জন্যই কি ওঁরা জীবন দিয়েছিলেন? তাঁর কথায়, ‘‘নিহত সেনাদের রাজনীতিতে টেনে আনার অর্থ তাঁদের অপমান করা। সেনা সবার স্বার্থে কাজ করে। সন্ত্রাস হানায় মোদীর পরিবারের কেউ নিহত হলেও সেনাবাহিনী রুখে দাঁড়াবে। রাহুল গাঁধীর পরিবারের কেউ মারা গেলেও সেনা লড়াই চালাবে।’’

বিরোধীরা প্রথম থেকেই অভিযোগ করে আসছেন, সেনার সাফল্যকে তুরুপের তাস করে ভোট আদায়ের রাজনীতি করছেন মোদী। আর তা করতে গিয়েই ভারতীয় সেনাবাহিনীকে ‘মোদীর সেনা’ বলে ফেলছেন যোগী আদিত্যনাথের মতো নেতারা। গত রবিবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী গাজ়িয়াবাদে প্রচারে গিয়ে বলেন, ‘‘কংগ্রেস সন্ত্রাসবাদীদের বিরিয়ানি খাওয়াত আর মোদীর সেনা তাদের বুলেট আর বোমা খাওয়াচ্ছে।’’ সেই প্রসঙ্গে অপূর্বার বক্তব্য, মোদী প্রধানমন্ত্রী ঠিকই। তবে তার অর্থ এই নয় যে সেনা তাঁর নিজের। পাশাপাশি, ওই তরুণীর ক্ষোভ, নিহত জওয়ানদের পরিবারের পাশে অল্প কয়েক দিনই থাকতে দেখা যায় নেতা-মন্ত্রীদের। উত্তজনা থিতিয়ে গেলে তাঁদের আর দেখা মেলে না।

এর আগেও যোগীর ‘মোদী-সেনা’ মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সুর চড়িয়েছিলেন পুলওয়ামায় নিহত এক জওয়ানের ছেলে সিদ্ধার্থ কুমার। তিনি এও বলেছিলেন, প্রচারের উত্তাপ বাড়াতে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেওয়া উচিত নয়। এই দেশে হিন্দু ও মুসলিম শান্তিপূর্ণ ভাবে বাস করে। জাতীয়তাবাদের জিগির তুলে বিদ্বেষের রাজনীতি করার অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপির বিরুদ্ধে। তাঁর কথায়, ‘‘আমার বাবা সিআরপিএফ-এ ছিল। সেখানে হিন্দু, মুসলিম, খ্রিষ্টান সব ধর্মের জওয়ানরাই ছিলেন। পুলওয়ামায় যে জওয়ানরা মারা গিয়েছেন তার মধ্যে মুসলিমও ছিলেন। সেই একই সুরে অপূর্বা বলেছেন, ‘‘মোদী বা রাহুলের জন্য মারা যাননি আমার বাবা। দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন।’’ রাজনৈতির দলগুলিকে তাঁর প্রশ্ন, ‘‘সেনাকে টেনে না এনে কি ভোটে লড়তে পারেন না আপনারা?’’

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE