পারিবারিক দুর্গ অমেঠি ছিলই। তার সঙ্গে এ বার যোগ হচ্ছে কেরলের ওয়ানাড। এ বার লোকসভা ভোটে অমেঠির পাশাপাশি কেরলের ওয়ানাড কেন্দ্র থেকেও প্রার্থী হচ্ছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। এই প্রথম দু’টি কেন্দ্র থেকে লোকসভা ভোটে লড়বেন রাহুল। আজ রবিবার এই ঘোষণা করেন কংগ্রেস নেতা এ কে অ্যান্টনি। বিজেপির কটাক্ষ, অমেঠিতে হারের ভয়েই ওয়ানাড কেন্দ্রে প্রার্থী হচ্ছেন রাহুল। মোদীর দুই কেন্দ্রে প্রার্থীর প্রসঙ্গ তুলে কংগ্রেসের পাল্টা খোঁচা, ‘অপরিণত’ ও ‘শিশুসুলভ’ মন্তব্য।
হিন্দি বলয়ে কংগ্রেসের দীর্ঘদিনের দুর্ভেদ্য ঘাঁটি উত্তরপ্রদেশের অমেঠি। গাঁধী পরিবারের দুই প্রজন্মের চার জন প্রার্থী এখান থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আসছেন। ১৯৯৮ সালে এক বার মাত্র বিজেপি প্রার্থী এখান থেকে জিতলেও এখনও পর্যন্ত নেহরু গাঁধী পরিবারের কেউ এখান থেকে হারেননি। ১৯৮০ সালে এই কেন্দ্রে ভোটে জিতে প্রথম সাংসদ হন নেহরু-গাঁধী পরিবারের সদস্য সঞ্জয় গাঁধী। তবে ওই বছরই বিমান দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হলে পরের বছর উপনির্বাচনে জেতেন দাদা রাজীব গাঁধী। ১৯৯১ সালে নিহত হওয়ার আগে পর্যন্ত তিনি টানা সাংসদ হয়েছেন এই কেন্দ্র থেকেই। রাজীব পত্নী সনিয়া এই কেন্দ্রে প্রার্থী হন ১৯৯৯ সালে। পর পর দু’বার সাংসদ থাকার পর ছেলে রাহুলের জন্য ওই কেন্দ্র ছেড়ে দেন এবং নিজে প্রার্থী হন রায়বরেলী থেকে। তার পর থেকেই রাহুল টানা তিন বারের সাংসদ। ২০১৪ সালেও বিজেপির হেভিওয়েট প্রার্থী স্মৃতি ইরানি প্রায় ১ লাখ ৮ হাজার ভোটে পরাজিত হন রাহুলের কাছে। এ বারও এই অমেঠিতে প্রার্থী রাহুল।
অমেঠির সঙ্গে তা হলে দক্ষিণের রাজ্য কেরলের ওয়ানাড কেন্দ্রেও রাহুল প্রার্থী হচ্ছেন কেন? কংগ্রেস সূত্রে দাবি, বেশ কিছু দিন ধরেই দক্ষিণের কংগ্রেস নেতারা দাবি করে আসছিলেন, রাহুল দক্ষিণের একটি কেন্দ্রে প্রার্থী হোন। তাতে গোটা দক্ষিণাঞ্চলে দলের কর্মীদের মনোবল বাড়বে। সেই দাবিতে প্রায় এক সপ্তাহ আগেই সবুজ সঙ্কেত দিয়েছিল কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি। রবিবার আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা হল কেন্দ্রের নাম। এ কে অ্যান্টনির ঘোষণার পর কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা বলেন, কেরল, কর্ণাটক এবং তামিলনাড়ু তিন রাজ্য থেকেই কংগ্রেস সভাপতিকে প্রার্থী করতে চেয়ে আর্জি জানিয়েছিলেন দলের নেতারা। শেষ পর্যন্ত ওয়ানাড কেন্দ্রকেই বেছে নেওয়া হয়েছে।