Advertisement
E-Paper

ভোট নিয়ে ভুয়ো তথ্য ঠেকাতে চায় টুইটারও

এপ্রিলের গোড়ায় করা একটি সমীক্ষাই জানাচ্ছে, গত এক মাসে ডিজিটাল মাধ্যমে প্রতি দু’জনের মধ্যে এক জনের কাছে ভুয়ো খবর এসেছে। টুইটারের বিরুদ্ধেও আগে পক্ষপাতের অভিযোগ উঠেছিল।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০১৯ ০১:২৫

ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপের পর ভোটের মুখে ভুয়ো খবর ঠেকাতে তারাও তৎপর হয়েছে বলে দাবি করল টুইটার।

বুধবার এক বিবৃতিতে টুইটার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ভোট সংক্রান্ত কোনও সন্দেহজনক তথ্য দেখলেই টুইটার ব্যবহারকারীরা তা জানাতে পারবেন কর্তৃপক্ষকে। এই নতুন বৈশিষ্ট্য অ্যাপ ও ওয়েবসাইট— দু’ক্ষেত্রেই পাওয়া যাবে বলে টুইটার জানিয়েছে। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ভারতে লোকসভা ভোট এবং ইওরোপীয় ইউনিয়নের একাধিক দেশে নির্বাচনকে মাথায় রেখেই এই বদল আনা হয়েছে। এ দেশে আজ, ২৫ এপ্রিল থেকে ও ইওরোপীয় ইউনিয়নে ২৯ এপ্রিল থেকে এই সুবিধে মিলবে। এর পরে বিশ্বের অন্য নানা জায়গার ভোটের আগে সেখানেও এমন ব্যবস্থা শুরু করা হবে বলে জানিয়েছে টুইটার। এর আগে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপও ভুয়ো খবর রুখতে তাদের তৎপরতার কথা জানিয়েছিল।

এপ্রিলের গোড়ায় করা একটি সমীক্ষাই জানাচ্ছে, গত এক মাসে ডিজিটাল মাধ্যমে প্রতি দু’জনের মধ্যে এক জনের কাছে ভুয়ো খবর এসেছে। টুইটারের বিরুদ্ধেও আগে পক্ষপাতের অভিযোগ উঠেছিল। দেশের বাইরের কোনও পক্ষ যাতে টুইটারের মতামতকে প্রভাবিত করতে না পারে সেজন্য সংসদীয় কমিটির তরফে টুইটারকে নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে নিরন্তর যোগাযোগ রাখার জন্য টুইটার নোডাল অফিসার নিয়োগেও সম্মত হয়েছিল। এ সবের প্রেক্ষিতেই টুইটারের এই তৎপরতা বলে মনে করা হচ্ছে। টুইটার জানিয়েছে, ভোট দেওয়ার পদ্ধতি, ভোটের দিন, ভোট দিতে কী কী নথি প্রয়োজন সে সব নিয়েও একাধিক ভুয়ো খবর নজরে এসেছে। উদাহরণস্বরূপ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, টুইট করে, মেসেজ-মেল করে বা ফোন করে ভোট দেওয়া যায় বলেও ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে বলে দেখা গিয়েছে। এমন কোনও খবর চোখে পড়লেই তেমন টুইটের পাশেই ‘রিপোর্ট টুইট’ অপশনে গিয়ে ‘ইটস মিসলিডিং অ্যাবাউট ভোটিং’ অপশনে সেই তথ্য সম্বন্ধে অভিযোগ নথিভুক্ত করা যাবে।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

ভুয়ো খবর ছড়ানোর মাধ্যম হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে দেশে বারবারই অভিযোগ উঠেছে। গুজবের মাধ্যমে হিংসা ছড়ানোয় গত বছর গণপিটুনিতে মৃত্যু হয়েছিল ২০ জনের। ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মের কর্তাদের ভুয়ো খবর ঠেকাতে নির্দেশও দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তার পরেও তা ঠেকানো যায়নি। এ বারের ভোটের প্রচারেও ভুয়ো তথ্য, ছবি ব্যবহারের একাধিক ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে।

তবে টুইটারের এই নতুন পদক্ষেপে ভুয়ো খবরের সমস্যার সমাধান কতটা হবে তা নিয়ে সন্দিহান বিশেষজ্ঞরা। ভুয়ো খবর ধরার একটি সংবাদমাধ্যমের কর্ণধার প্রতীক
সিন্‌হা বলছেন, ‘‘টুইটারের এই পদক্ষেপ পুরোটাই ভোট দেওয়া সংক্রান্ত ভুয়ো খবর ঠেকাতে। ভুয়ো খবরের বিশাল দুনিয়ার তা অতি সামান্য একটা বিষয়। তাও তা চালু হল এমন সময় যখন দেশে তিন দফা ভোট হয়ে গিয়েছে।’’ তাই এতে আসল সমস্যার কতটা সমাধান হবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে বলে মত প্রতীকের।

Twitter Lok Sabha Election 2019
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy