Advertisement
০৩ মে ২০২৪

গোরক্ষার নামে খুন নয়, সরব শিবসেনা

শিবসেনার মুখপত্র ‘সামনায়’ প্রকাশিত সম্পাদকীয়তে দলের যুক্তি, কেরল, অন্ধ্রপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তর-পূর্বে গোমাংস ভক্ষণ নিষিদ্ধ নয়। এমনকী এই সব জায়গাগুলিতে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলেও রাতারাতি মানুষের খাদ্যাভ্যাস বদলে ফেলা যাবে না।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০১৭ ০৩:৩৩
Share: Save:

গোরক্ষার নামে দেশজুড়ে গণপিটুনি ও খুনের সমালোচনায় এ বার মুখ খুলল শিবসেনা। গত সপ্তাহে গোরক্ষকদের তাণ্ডবের বিরুদ্ধে সুর চড়ান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যার প্রশংসা করে শিবসেনার মুখপত্রে প্রকাশিত সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, গোরক্ষা নামে মানুষ খুন হিন্দুত্ব বিরোধী। যার পাশাপাশি গোরক্ষা আইন নিয়ে গোটা দেশ জুড়ে জাতীয় নীতি চালু করার কথাও বলেছে দেশটি।

শিবসেনার মুখপত্র ‘সামনায়’ প্রকাশিত সম্পাদকীয়তে দলের যুক্তি, কেরল, অন্ধ্রপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তর-পূর্বে গোমাংস ভক্ষণ নিষিদ্ধ নয়। এমনকী এই সব জায়গাগুলিতে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলেও রাতারাতি মানুষের খাদ্যাভ্যাস বদলে ফেলা যাবে না। শিবসেনার বক্তব্য, ‘‘কেন শুধুমাত্র গুজরাত বা মহারাষ্ট্রে গরুকে পবিত্র মাতা বলে গণ্য করা হবে। কেন উত্তর-পূর্বে হবে না? গোরক্ষা বিষয়টির সঙ্গে বহু মানুষের খাদ্যাভ্যাস, অর্থনীতি ও রোজগারের সুযোগ জড়িয়ে থাকে। তাই এই নিয়ে দেশে জাতীয় নীতি থাকা প্রয়োজন।’’

হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ বা ঝাড়খণ্ড বা অসমের মতো বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতেও গোরক্ষকদের হাতে খুন হচ্ছেন মানুষ। গত শুক্রবার মোদীর কড়া বার্তার পরেও ঝাড়খণ্ডের রামগড়ে উন্মত্ত জনতার হাতে মার খেয়ে মৃত্যু হয়েছে এক মাংস বিক্রেতার। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হন নিত্যানন্দ মাহাতো নামে বিজেপিরই এক স্থানীয় নেতা। মোদীকে তাই খোঁচা দিয়ে শিবসেনা বলেছে, ‘‘এত দিন অবধি গোরক্ষকরা ছিলেন হিন্দু। আর এখন তাঁরা খুনি হয়ে উঠেছে।’’

গোরক্ষকদের বাড়াবাড়িকে ‘গুরুতর’ বলে দুষেছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। যদিও মোদী জমানায় যে গোরক্ষা নিয়ে বাড়াবাড়ির অভিযোগ উঠেছে তা অস্বীকার করেন তিনি। তাঁর মতে, ২০১১-১৩ সালের মধ্যে কংগ্রেসের আমলেই গোরক্ষার নামে পিটিয়ে খুনের ঘটনা বেশি ঘটে। অমিতের এই বক্তব্যে আপত্তি জানিয়ে শিবসেনা বলেছে, ‘‘শাহ গোয়ার দাঁড়িয়ে এই কথা বলেছেন। যেখানে গোমাংস ভক্ষণ নিয়ে কোনও বিধিনিষেধ নেই। আর কংগ্রেসের আমলে খুন যদি হয়েও থাকে, তা কোনও ভাবেই সাম্প্রতিক হত্যার ঘটনাগুলির গুরুত্ব কমিয়ে দেয় না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE