ম্যাগি নিয়ে আপত্তি ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ওঁদের জীবিকায় পড়ে গিয়েছে প্রশ্নচিহ্ন। গোয়ার বিচোলিমে নেসলে ইন্ডিয়ার একটি কারখানায় কাজ করতেন ওঁরা। তাঁদের মধ্যে ৫০০ জন শ্রমিকের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। কারণ কয়েক দিন আগেই ম্যাগি উৎপাদন বন্ধে রাজ্যে নির্দেশ এসেছে। তার পরেই এই সিদ্ধান্ত। কারখানার মূল গেটে দাঁড়িয়ে বছর ২৫-এর লক্ষ্মণ গাঁওকর জানালেন, চার বছর ধরে কাজ করছেন এখানে। কিন্তু হঠাৎই বলে দেওয়া হয়েছে, আর কাজে আসতে হবে না। লক্ষ্মণের বক্তব্য, ‘‘উৎপাদন শুরু হলে তখন ডাকা হবে বলে জানিয়েছে সংস্থা।’’
একই ভাবে কাজ হারিয়েছেন ঝাড়খণ্ডের ৬০ জন শ্রমিক। সুরেশ সিংহ নামে এমনই এক জন জানালেন, ‘‘ময়দার সঙ্গে অন্য উপকরণ মেশানো কাজ ছিল আমার। এখন সব বন্ধ।’’ মজার ব্যাপার, লক্ষ্মণের মতো কর্মীরা বলেছেন, কারখানায় তাঁরা সপ্তাহে তিন দিন ম্যাগি খেতেন। কেউ কেউ অনেক বছর ধরেই খেয়ে আসছেন। তার জন্য কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েননি। নিতিন গাঁওকর নামে আর এক শ্রমিক তাই ম্যাগির বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছেন।
হরিয়ানা থেকেও এসেছে এমনই খবর। সেখানে নমুনা পরীক্ষায় পাশ করেছে ম্যাগি। হরিয়ানার জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের অধিকর্তা এস নারায়ণন বলেছেন, এখানে করা পরীক্ষায় ম্যাগির মধ্যে সিসা এবং এমএসএজি অনুমোদিত মাত্রায় মিলেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy