Advertisement
১৭ মে ২০২৪
Haryana Violence

নুহ হিংসায় সরকারকে দুষল মহাপঞ্চায়েত 

হিসারে মহাপঞ্চায়েতে কৃষকদের বেশ কয়েকটি সংগঠন অংশ নেয়। এসেছিলেন ৩০টির বেশি খাপ পঞ্চায়েতের সদস্যরা এবং বেশ কিছু ধর্মীয় নেতা।

haryana

হিংসা বিধ্বস্ত হরিয়ানা। ছবি: পিটিআই।

সংবাদ সংস্থা
চণ্ডীগড় শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০২৩ ০৬:৩৮
Share: Save:

হরিয়ানার নুহতে গোষ্ঠী সংঘর্ষের জন্য রাজ্য সরকারকে দায়ী করল কৃষক, খাপ পঞ্চায়েত এবং ধর্মীয় নেতাদের মহাসম্মেলন। হিসারে ভিড়ে ঠাসা এই সমাবেশ তথা মহাপঞ্চায়েত থেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে উস্কানিমুলক মন্তব্যের জন্য গেরুয়াবাদী নেতা বিট্টু বজরঙ্গি এবং মনু মানেসরকে গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়। আবার এ দিনই হরিয়ানা সরকার হাই কোর্টের মন্তব্যের বিরোধিতা করে বলেছে, রাজ্যে কোনও বিশেষ সম্প্রদায়কে নিকেশের নীতি সরকার কখনওই নেয়নি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্যই রাজ্যের বিজেপি সরকার বুলডোজ়ার দিয়ে ‘দুষ্কৃতী’-দের বাড়ি ও হোটেল ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বলে যুক্তি দিয়েছে সরকারের তরফে এক উচ্চপদস্থ আইনি আধিকারিক।

হিসারে এ দিনের মহাপঞ্চায়েতে কৃষকদের বেশ কয়েকটি সংগঠন অংশ নেয়। এসেছিলেন ৩০টির বেশি খাপ পঞ্চায়েতের সদস্যরা এবং বেশ কিছু ধর্মীয় নেতা। গোটা রাজ্য থেকে এঁদের সঙ্গে যুক্ত হাজার হাজার মানুষ এ দিন সরকার-বিরোধী এই মহাসমাবেশে যোগ দেন। সব বক্তাই নুহ এবং গুরুগ্রামে হিংসা ছড়ানোর জন্য শাসক দলের প্রশ্রয়ে থাকা হিন্দুত্ববাদী দুষ্কৃতীদের দায়ী করেন। মনু মানেসরের মতো বজরং দলের নেতাদের উস্কানিমুলক বক্তৃতা ও মন্তব্য যে হিংসা ছড়ানোর জন্য দায়ী, এই দাবি করে বলেন বিজেপি সরকারের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। ধর্মীয় মেরুকরণের উদ্দেশ্যে হরিয়ানায় দাঙ্গা হতে দেওয়া হয়েছে বলেও কেউ কেউ অভিযোগ করেন। হিংসাদীর্ণ এলাকায় শান্তি ও ধর্মীয় সম্প্রীতি ফিরিয়ে আনা জরুরি বলে প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে মহাপঞ্চায়েত থেকে।

পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্ট এর আগে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল, বুলডোজ়ার ব্যবহার করে আইনসম্মত ভাবে তৈরি বাড়ি তারা কোন যুক্তিতে ভাঙচুর করেছে, আগামি শুনানির দিনে তার লিখিত জবাব দিতে হবে। সোমবার হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ এই ভাঙচুরের কঠোর নিন্দা করে মন্তব্য করেছিল, একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে নিকেশ করার উদ্দেশ্য নিয়ে রাজ্য সরকার বাছাই করা লোকেদের বাড়ি ও হোটেল বুলডোজ়ার দিয়ে ভাঙচুর করেছে। রাজ্যের পদস্থ আইনি আধিকারিক দীপক সাভরওয়াল সেই মন্তব্য খারিজ করে দাবি করেন, সরকারের কাছে সব নাগরিকের মর্যাদা সমান। তিনি দাবি করেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সরকারকে এই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয়েছে।

এ দিনই অন্য একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট মন্তব্য করেছে, নুহতে একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষদের বয়কট করার যে ডাক দেওয়া হয়েছে তা একেবারেই অবাঞ্ছিত। বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি এস ভি ভাট্টি মন্তব্য করেছেন, দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে ন্যূনতম একটা সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য থাকাটা প্রয়োজন। পুলিশের ডিজি-র উচিত আধিকারিকদের নিয়ে একটি কমিটি তৈরি করে এই ধরনের সমস্যা মোকাবিলা করা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Haryana
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE