আহত জওয়ানকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ছবি: পিটিআই।
হানাদারদের অনেকের বয়স ছিল আঠেরোর কম। দলে ছিল মহিলারাও। রকেট লঞ্চার, এ কে ৪৭ রাইফেল নিয়ে তারা হামলা চালিয়েছিল কোবরা বাহিনীর উপর।
সোমবার রাতে গয়া-ঔরঙ্গাবাদ সীমানার মদনপুর থানা এলাকায় জঙ্গিহানার প্রাথমিক তদন্তে মিলেছে এমনই তথ্যপ্রমাণ। ঘটনাস্থলে রকেট লঞ্চার এবং অ্যাসল্ট রাইফেলও উদ্ধার করেছে তদন্তকারী দল। এই বিষয়ে রিপোর্ট গিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে। গোয়েন্দাদের বক্তব্য, রকেট লঞ্চারগুলি চিনে নির্মিত। সম্ভবত নেপালের পথে ওই সব অস্ত্র বিহার, ঝাড়খণ্ডে ঢুকেছে।
বিহার পুলিশ সূত্রে খবর, ঝাড়খণ্ডের সারন্ডার জঙ্গলে রকেট লঞ্চার চালানোর প্রশিক্ষণের প্রমাণ মিলেছে। আইইডি বিস্ফোরণে মোবাইল ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে বলেও তাঁদের বক্তব্য। আজ সিআরপি-র ফরেন্সিক বিভাগের কর্তারা ঘটনাস্থলে যান। সেখান থেকে উদ্ধার হওয়া ইনসাস, অ্যাসল্ট রাইফেল পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। তদন্তকারীদের আশঙ্কা, আমেরিকায় তৈরি এম ১৬ রাইফেলও সম্ভবত মাওবাদীদের হাতে পৌঁছেছে।
মাসখানেক ধরেই বিহার, নাগাল্যান্ড, উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাবের কয়েক জন অস্ত্র ব্যবসায়ীর উপরে নজর রাখছিলেন গোয়েন্দারা। তদন্তে জানা গিয়েছে, নেপালের অস্ত্র ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশ ও চিন থেকে রকেট লঞ্চার ও এম ১৬ অ্যাসল্ট রাইফেল জোগাড় করেছে। সেই অস্ত্র মাওবাদীদের হাতে পৌঁছেছে। মাসদু’য়েক আগে চট্টগ্রামের জলদস্যু আব্দুর রসিদকে গ্রেফতার করা হয়। রসিদের কাছে মেলে একটি এম ১৬ রাইফেল। বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের সন্দেহ, রসিদ ওই অস্ত্র কিনেছিল নাগাল্যান্ডের পাচারকারীদের কাছ থেকে। এ দিকে, মাওবাদী দমনে আন্তঃরাজ্য পুলিশের মধ্যে আরও বেশি সমন্বয়ের উদ্দেশে আজ ঝাড়খণ্ড পুলিশের সদর দফতরে পূর্ব ভারতের চার রাজ্যের পুলিশ কর্তারা ‘পূর্ব ভারতের সুরক্ষা সমন্বয়’ বৈঠক করেন। তবে শুধু মাওবাদী দমন নয়, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ কী ভাবে অঙ্কুরেই বিনষ্ট করা যায় তা নিয়েও আলোচনা করা হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ঝাড়খণ্ডের এডিজি (অপারেশন) সত্যনারায়ণ প্রধান বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘মিশন এক পুলিশ এক’ এই নীতির প্রয়োগ করতে হবে। সে জন্য দরকার পূর্ব ভারতের সব রাজ্যের পুলিশদের সমন্বয়।’’ পুলিশকর্তাদের মতে, মাওবাদী-সহ অন্য সমাজবিরোধীরা অপরাধ করেযাতে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে পালাতে না পারে, সে ব্যপারে আরও বেশি সর্তক থাকতে হবে।
এ দিনের বৈঠকে ঝাড়খণ্ড ছাড়াও ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা ও ছত্তীসগঢ়ের পুলিশকর্তারা।
এ দিকে, আজই দুমকার কাঠিকুন্ড থানা এলাকায় একটি ট্রাক আটক করে প্রচুর বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ৩৭ হাজার ৫০০টি ডিটোনেটর, ৪১ হাজার ২০০টি জিলাটিন স্টিক উদ্ধার হয়েছে। চালক ও খালাশিকে গ্রেফতার করা
হয়েছে। ট্রাকটি কোডরমা থেকে পাকুরিয়া যাচ্ছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy