Advertisement
০৩ মে ২০২৪

সন্ত্রাস রুখতে বৈঠক কাছাড়, ইস্ট জয়ন্তিয়া প্রশাসনের

মেঘালয়ের ইস্ট জয়ন্তিয়া জেলায় ১৭ কিলোমিটার আন্তর্জাতিক সীমান্তে এখনও কাঁটাতারের বেড়া বসেনি। এ নিয়ে উদ্বেগে সেখানকার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার। উদ্বিগ্ন পার্শ্ববর্তী জেলা অসমের কাছাড়ও।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলচর শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০১৬ ০৩:২৩
Share: Save:

মেঘালয়ের ইস্ট জয়ন্তিয়া জেলায় ১৭ কিলোমিটার আন্তর্জাতিক সীমান্তে এখনও কাঁটাতারের বেড়া বসেনি। এ নিয়ে উদ্বেগে সেখানকার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার। উদ্বিগ্ন পার্শ্ববর্তী জেলা অসমের কাছাড়ও।

বাংলাদেশ থেকে জঙ্গিরা মেঘালয় হয়ে ভারতে ঢুকেছে, এখনও যেমন তার সত্যতা মেলেনি, তেমনি প্রশাসনিক কর্তারা একে গুজব-ভিত্তিহীন বলে উড়িয়েও দিতে পারছেন না। তাই সতর্কতার ছিঁটেফোটাও বাকি রাখতে চাইছেন না কাছাড়ের জেলাশাসক এস বিশ্বনাথন ও পুলিশ সুপার রজবীর সিংহ। আজ তাঁরা শিলচরে বৈঠক করেন ইস্ট জয়ন্তিয়ার জেলাশাসক ডব্লিউ আর লিংডো এবং পুলিশ সুপার এস থামারের সঙ্গে। লিংডো-থামার দু’জনই জানান, বাংলাদেশ থেকে জঙ্গি প্রবেশের খবরটিকে তাঁরা মোটেও হালকা ভাবে নিচ্ছেন না। বিএসএফ-কে বিশেষ ভাবে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। খোলা থাকা ১৭ কিলোমিটার অংশে অতিরিক্ত রক্ষী মোতায়েনের জন্য বিএসএফ কর্তাদের বলা হয়েছে।

ইস্ট জয়ন্তিয়ার জেলাশাসক ডব্লু আর লিংডো জানান, আগে কয়লা খনিতে কাজের জন্য বাংলাদেশিরা সীমান্ত পেরিয়ে চলে আসত। শ্রমিক সেজে দুষ্কৃতীদের ঢুকে পড়া কঠিন ছিল না। এখন কয়লা খনিগুলি বন্ধ রয়েছে। কয়লা উত্তোলন বন্ধ বলে শ্রমিকদেরও আর প্রয়োজন পড়ে না। তবু অন্য কোনও কাজে বাংলাদেশিরা ঢুকে পড়ছে কি না, সে দিকে জেলা প্রশাসন খেয়াল রাখছে বলে জানান তিনি। কাছাড়ের ৩৬ কিলোমিটার আন্তর্জাতিক সীমান্তের পুরোটাই কাঁটাতারে ঘেরা এবং সম্পূর্ণ সুরক্ষিত বলে সকলকে আশ্বস্ত করেন পুলিশ সুপার রজবীর সিংহ।

প্রতিবেশী রাজ্যের দুই জেলার শীর্ষকর্তাদের বৈঠকে আজ আন্তঃরাজ্য সীমান্ত ছাড়াও বেহাল সড়ক, কয়লা ইত্যাদি বিষয়েও আলোচনা হয়। লিংডো বলেন, ‘‘এমন বৈঠকে ছোটখাটো বহু সমস্যা মিটে যায়।’’

জাতীয় সড়কের কথায় তিনি জানান, রাস্তাটি ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটির হাতে সমর্পণ করা হয়েছে। তারা আগামী মার্চের মধ্যে রাস্তার কাজ শেষ করবে বলে কথা দিয়েছে। কয়লা পরিবহণ বন্ধ বলে রাস্তা নির্মাণের পর এ বার আর বিশেষ ক্ষতি হবে না, এমনটাই দাবি তাঁদের। জেলাশাসক লিংডো শোনান, গ্রিন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে কবেই তাঁরা কয়লা উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছেন। এতদিন উত্তোলিত কয়লার পরিবহণ চলছিল। এই বছরের মার্চে তাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কাছাড়ের জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার সাম্প্রতিক বাস দুর্ঘটনায় ইস্ট জয়ন্তিয়া জেলা প্রশাসনের ভূমিকার উচ্ছসিত প্রশংসা করেন। এমন দুর্ঘটনা যেন আর না ঘটতে পারে, সে ব্যাপারে প্রতিবেশী জেলার সাহায্য চান তাঁরা। জবাবে থামার জানান, যাত্রীবাহী বাসে মেঘালয় পুলিশও কড়া তল্লাশি শুরু করেছে। মদ্যপ চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাত্রিবাসে পণ্য পরিবহণের ব্যাপারেও তাঁরা সতর্ক রয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

east jayantia district terrorism
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE